নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
গতকাল ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত হয়। রাজ্যের ২৯৪ আসনে আট দফায় ভোট। আর সেই ঘোষণার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রশান্তের প্রত্যয়ী ট্যুইট। যাকে ঘিরে দিনভর সরগরম থাকল বাংলার রাজনীতি। দ্বিগুণ উৎসাহে পুরোদস্তুর মাঠে নেমে পড়ল শাসক শিবির। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে শুরু জোর প্রস্ততি। এবারও সেই তালিকায় বড় চমক দিতে পারেন দলনেত্রী। তার আগেই অবশ্য কর্মী-সমর্থকদের দেওয়াল দখল শুরু। অন্যদিকে ভোটকুশলীর ট্যুইটকে ঘিরে ধেয়ে আসছে বিরোধীদের খোঁচাও। সবমিলিয়ে উচ্চস্বরে শোনা যাচ্ছে—‘খেলা হবে।’
নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, আগামী ২৭ মার্চ ভোট গ্রহণ শুরু। শেষ হচ্ছে ২৯ এপ্রিল। একেবারে বত্রিশ দিনের ‘টেস্ট সিরিজ’! অঙ্ক কষেই পা ফেলছে শাসক-বিরোধী। তার মধ্যেই তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের স্পষ্ট বক্তব্য, মমতাই ফের ক্ষমতায় আসছেন। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘গণতন্ত্রের সবথেকে বড় লড়াই হতে চলেছে বাংলায়। উত্তর দিতে মুখিয়ে রয়েছেন বঙ্গবাসী। এবং তাঁরা সঠিক বার্তাই দেবেন—‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।’
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলায় এসেছিলেন গেরুয়া শিবিরের ‘চাণক্য’ অমিত শাহ। রাজ্যে ‘ভোজন রাজনীতি’ করার ফাঁকেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ২০০টি আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রশান্তও বলেছিলেন, ‘বাংলায় দুই অঙ্কের আসন পার করতে পারবে না বিজেপি। ভুল প্রমাণিত হলে ‘পরামর্শদাতা’র কাজই ছেড়ে দেবো।’ এদিনও সেই বক্তব্য সামনে এনে তিনি ফের দাবি করেছেন, ‘আগামী ২ মে আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।’ বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য তাঁকে কটাক্ষ করে বলেছে, ‘ভোটের পর প্রশান্ত কিশোরকে টিকিট কাটতে হবে।’
উভয়পক্ষের এই বাগযুদ্ধের মধ্যেই রাজ্যবাসীর নজর এখন সব দলেরই প্রার্থী তালিকার দিকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, সপ্তাহের গোড়ার দিকেই তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে পারে। একপ্রস্থ আলোচনা সেরে ফেলেছে ১২ জনের নির্বাচন কমিটি। দফাওয়াড়ি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেন দলনেত্রী। ‘ইন্ডিয়ান পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি’ বা আইপ্যাকের তরফেও বিধানসভা ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরির কাজ সম্পূর্ণ। সবকিছু পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা। বেশ কয়েকজন বিদায়ী বিধায়কের নাম এবার বাদ যেতে পারে বলে খবর। সেক্ষেত্রে নতুন মুখকে যেমন সামনে আনা হবে, তেমনই শিল্প-সংস্কৃতি জগতের কর্মী, খেলোয়াড়, শিক্ষাবিদ ও সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিও থাকবেন প্রার্থী তালিকায়। এক নেতার কথায়, ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুখ আনার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে।’ এদিকে, ভোট নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে রবিবার রাজ্যে আসছেন আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে।