নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
এদিন ঘাটাল মহকুমার নিমতলা থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন অভিষেক। প্রায় চার কিমি রোড শোতে জনপ্লাবন দেখা যায়। এদিন বিকেল ৩টের সময় ঘাটাল শ্রীঅরবিন্দ স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারে নামেন অভিষেকবাবু। সেখান থেকে তিনি গাড়িতে করে সোজা ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তার নিমতলা বাসস্টপে যান। যুব নেতা নিমতলা মোড়ে পৌঁছনোর আগেই কয়েক হাজার দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে সামনে পেয়েই উল্লাসে স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেখান থেকেই রোড শো শুরু হয়। অভিষেকবাবু নীল রঙের ‘দিদির দূত’ গাড়িতে চাপেন। রাস্তার দু’দিকে ছিল অসংখ্য মানুষের ভিড়। অনেকেই ফুল ছুঁড়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান। ধীরে ধীরে এগতে থাকে গাড়ি। রোড শোতে কর্মী সমর্থকদের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। তা চোখ এড়িয়ে যায়নি যুব সভাপতিরও। এদিন ‘জনপ্লাবন’ দেখে অভিভূত হন তিনি। অভিষেক বলেন, আমি যতগুলো রোডশো করেছি, এটা আমার সেরা রোড শো।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে অভিষেক বলেন, একজন তো বলেছিলেন, আদর্শ আচরণ বিধি শুরু হলে খেলা শুরু হবে। শুক্রবার থেকে তো আদর্শ আচরণ বিধি শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কোথায় খেলবে? মেদিনীপুরের ছেলেদের সঙ্গে? কিন্তু, মেদিনীপুরের মানুষ এতো বোকা নন। তাঁরা মাথা উঁচু করে চলতে জানেন। রাজ্যে তৃতীয়বারের ক্ষমতা আনার জন্য তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকেই শক্ত করবেন। বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করা যাবে না।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার কথা মনে করিয়ে দিয়ে যুবনেতা বলেন, বিজেপির কোনও সংস্কৃতি নেই। রবীন্দ্রনাথ কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেটা ওরা জানে না। ওই সাম্প্রদায়িক বহিরাগতদের বাংলার মানুষ চিনে গিয়েছেন। আসলে বিজেপি দলটারই কোনও সংস্কৃতি নেই। দিনের বেলায় চাষিদের বাড়ি খেতে চলে যাচ্ছেন। আর রাতে পাঁচতারা হোটেলে মস্তি করছেন। এই হচ্ছে বিজেপির সংস্কৃতি।
অভিষেকবাবু আরও বলেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর থেকে তো দিলীপ ঘোষ জিতেছিলেন। ঝড়ের সময়, লকডাউনের সময় তাঁর টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু, প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের দলের কর্মী ও নেতারা উপস্থিত হয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন। বিজেপি বলে, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নাকি ভাঁওতা। আর গোপীবল্লভপুরে দিলীপ ঘোষের পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। এবার স্বাস্থ্যসাথীর গুরুত্বটা বুঝুন!
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। এদিন আমি এখানে এসেছি। এটাই আমার প্রথম নির্বাচনী প্রচার। তাই আপনারা আমাকে সবাই আশীর্বাদ করুন।