নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্টস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যরা ২০১৯ সালে আদালতকে জানায়, আদালত কর্মীদের স্বার্থে হাইকোর্ট রুল বানিয়ে দিলেও রাজ্য গেজেট নোটিফিকেশন না করায় তা কার্যকর হচ্ছে না। জবাবে রাজ্য বলেছিল, গ্রুপ-ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে যোগ্যতামান হিসেবে হাইকোর্ট পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণকে উল্লেখ করেছে। কিন্তু, সরকারি ক্ষেত্রে এমন নিয়োগে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সরকারি অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে বিচারবিভাগীয় দপ্তরে নিয়োগ ক্ষেত্রে একইরকম ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। এরপর হাইকোর্ট প্রশাসনের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী এক শুনানিতে আদালতকে জানান, রাজ্য ওই ত্রুটি দেখিয়ে দেওয়ার পর হাইকোর্ট প্রশাসন তা দ্রুত সংশোধন করে দিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ১৮ জানুয়ারির শুনানিতে রাজ্য আদালতকে জানায়, মন্তিসভার অনুমোদনের জন্য রুলটি পাঠানো হয়েছে। সেই অনুমোদন পেলেই গেজেট নোটিফিকেশন করা হবে। কিন্তু, ২২ ফেব্রুযারির শুনানিতে ওই রুলে আরও কিছু ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়। তখন আদালতে সওয়ালে প্রশ্ন ওঠে, কেন সেগুলি এতদিনেও উল্লেখ করা হয়নি। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’কে আদালতকর্মীদের প্রতি সরকারের বিমাতৃসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি বলে রায়ে উল্লেখ করেছে বেঞ্চ। হাইকোর্ট বলেছে, আগে বলা হল, বিষয়টি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য গিয়েছে। অথচ, এখন বলা হচ্ছে, আদৌ বিষয়টি মন্ত্রিসভাতেই পেশ হয়নি। এই অবস্থায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে তার দৃষ্টিভঙ্গী আদালতে পেশ করতে হবে। সেইমতো ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন মামলাটি বিচারের তালিকায় থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত শুনানি হয়নি। রাজ্যের বক্তব্যও জানা যায়নি।