নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ নিয়ে অভিযোগ তো রয়েছেই। আর বিধানসভা ভোটের প্রাক-মুহূর্তে তৃণমূলের আন্দোলনের হাতিয়ার হয়ে উঠল জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি। মমতা বললেন, ‘নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা এসে বলে, বিনা পয়সার গ্যাস দেবে। কিন্তু সেটা যে কত বড় যে গ্যাস (মিথ্যা কথা), তা বোঝা যাচ্ছে। ওটা অরিজিনাল গ্যাস নয়!’
তৃণমূলের ব্যাখ্যা, ২০১৪ সালে মোদি সরকার আসার সময় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম ছিল ৪১৪ টাকা। আর ২০২১ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৮২০ টাকায়। মাসে দু’টি রান্নার গ্যাসের দাম পড়বে ১৬৫০ টাকা। এখানেই মমতা দাবি করেছেন, গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৪০০ টাকা করতে হবে। ২ কোটি মানুষ কেরোসিনের উপর নির্ভরশীল। মানুষের জীবন ছাড়া সব কিছু দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যে সমস্ত বিজেপি নেতা প্রতিদিন বঙ্গ সফরে আসছেন, তাঁদের কাছে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনও উত্তর নেই কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১৪’র তুলনায় ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অনেক কমেছে। কিন্তু দেশে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে মমতা স্পষ্ট মনে করেন, এর পিছনে বড় রহস্যের খেলা রয়েছে। দাম কী করে বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে, টাকা কীভাবে যাচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন। মানুষকে অসহায়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া চলবে না। সব কিছুর দাম আছে, আর দেশের মানুষের প্রাণের দাম নেই? অবিলম্বে জ্বালানির দাম কমাতে হবে বলে মমতার দাবি।
দাম কমানোর দাবি যেমন কেন্দ্রের কাছে রাখেন তৃণমূল নেত্রী, তেমনই দলকেও আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, কৃষকরা রাস্তায় রয়েছেন। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে গেলে যতই এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাক, বিজেপি কিছুই করতে পারবে না। কুম্ভকর্ণদের ঘুম ভাঙুক। না ভাঙলে আমরা ঘুম ভাঙাব। আক্ষেপের সুরে মমতা বলেন, মোদি সরকার স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে দিচ্ছে। আমি জানি না, কবে হয়তো দেশের নামটাও বদলে দেবে।