বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া হাসপাতালগুলির চূড়ান্ত মূল্যায়নের কাজ চলবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তারপর ১০ ফেব্রুয়ারি স্বচ্ছতার নিরিখে রাজ্যের সেরা হাসপাতালের নাম ঘোষণা করা হবে। জানা গিয়েছে, গত বছর এই প্রকল্পে ১৯৩টি সরকারি হাসপাতাল অংশ নিয়েছিল। এবছর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৯। এব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, সারা বছর ধরেই এই প্রকল্পের কাজ চলে। মূলত হাসপাতালগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বায়োকেমিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, স্যানিটেশন এবং হাইজিন ও হাসপাতালের পারিপার্শ্বিক অবস্থা (যেমন হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে কোনও অস্থায়ী দোকান, রিকশস্ট্যান্ড ইত্যাদি আছে কি না) দেখে মূল্যায়নের কাজ করা হবে। সব মিলিয়ে মোট ৬০০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়নের কাজ হবে। তার জন্য নির্দিষ্ট মোট ৩০০ বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হবে। ওই প্রতিটি বিষয়ের জন্য পৃথক দুই নম্বর করে থাকবে।
এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, সেরা হাসপাতাল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথমে রয়েছে, জেলা হাসপাতাল। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে, মহকুমা হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও গ্রামীণ হাসপাতাল। তৃতীয় ভাগে রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা পিএইচসি বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। যদিও এবছর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের হাসপাতালগুলিকে নিয়ে সুশ্রী প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে এখনও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে সেগুলিকেও এই প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হবে।
মূল্যায়নের কাজ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে হাসপাতালগুলির সার্বিক পরিকাঠামো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মূল্যায়নের কাজ করে থাকে জেলার অভ্যন্তরীণ হাসপাতালগুলির বিভিন্ন প্রতিনিধিদল। সেই মূল্যায়নের ৭০ শতাংশ নম্বর পেলে তবেই সেই হাসপাতাল দ্বিতীয় পর্যায়ে অংশ নিতে পারে। এরপর ৭০ শতাংশ নম্বর পাওয়া জেলার হাসপাতালগুলিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে আসে পার্শ্ববর্তী জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি দল। এক্ষেত্রেও ৭০ শতাংশ উত্তীর্ণ হাসপাতালগুলিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে মূল্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় মূল্যায়নে যে সকল হাসপাতাল ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে তাদের নিয়েই চূড়ান্ত পর্যায়ের মূল্যায়ন হতে চলেছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের এই মূল্যায়নের জন্য গঠিত হয় তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল। সেই দলে মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের একজন অধ্যাপক, একজন ইনফেকশন কন্ট্রোল নার্স ও একজন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক থাকছেন।
জানা গিয়েছে, এবছর সেরা দশে নির্বাচিত হওয়া স্বচ্ছ হাসপাতালগুলির পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। তারপরই ঘোষণা করা হবে রাজ্যে তিনটি স্তরের সেরা হাসপাতালের নাম। জেলা হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রথম হওয়া হাসপাতালকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫০ লক্ষ টাকা। তাছাড়া যে সমস্ত হাসপাতাল ৭০ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে পারবে তাদের দেওয়া হবে তিন লক্ষ করে টাকা। অন্যদিকে মহকুমা হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালের মধ্যে প্রথম হওয়া হাসপাতাল পাবে ১৫ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় হওয়া হাসপাতাল পাবে ১০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি এক্ষেত্রেও ৭০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত হাসপাতালগুলিতে দেওয়া হবে এক লক্ষ করে টাকা। রাজ্যের ছোট-বড় সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেই স্বাস্থ্য দপ্তর এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল।