জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে আসা রোগীদের পরিবারই মূলত তাদের টার্গেট হয়। নবান্নের নির্দেশের পর ২০২৩ সালে এসব দালাল চক্রের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালিয়েছিল লালবাজার। তখন জানা যায়, ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে রোগী ভর্তি করানোর জন্য। মাঝে কিছুদিন অভিযান বন্ধ ছিল। এর মধ্যে জামিনে ছাড়া পায় ধৃতরা। বাইরে এসে তারাই আবার নতুন উদ্যেমে এই কাজ শুরু করে বলে দাবি পুলিসের। চলতি মাসে এনিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে লালবাজারে। অভিযোগের সারবত্তা বুঝতে সাদা পোশাকে পুলিস এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নজরদারি শুরু করে। এমনকী, রোগী সেজে দালালদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সকালে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার অফিসারদের দু’টি টিম পৌঁছে যায় এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিস জানিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে শচীন সর্দার, বান্টি প্রসাদ ও রাকেশ মল্লিক নামে তিনজনকে আটক করা হয়। অন্য টিমটি মেডিক্যাল কলেজে অভিযান চালিয়ে কৃষ্ণা পণ্ডিত ও উত্তম দাস নামে দু’জনকে পাকড়াও করে। তাদের যথাক্রমে ভবানীপুর ও বউবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিস।
তদন্তকারীদের দাবি, অনেকদিন ধরেই ধৃতরা দালাল চক্র চালাচ্ছিল। তাদের হয়ে আরও অনেকে কাজ করছে। তাদের কাজ হল পেসেন্ট পার্টিকে বোঝানো যে এমনি এমনি বেড পাওয়া যাবে না। তাদের মাধ্যমে গেলে অনায়াসে বেড মিলবে। এমনকী, নামকরা বা নির্দিষ্ট কোনও ডাক্তারবাবুর অধীনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার টোপ দিত তারা। এর পাশাপাশি, যেসব পরিবার অনেকদিন ঘুরেও রোগী ভর্তি করাতে পারছেন না, তাদেরও টার্গেট করে এই দালাল চক্র। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার ডেট পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও টাকা তোলা হতো বলে অভিযোগ। তাদের টাকা দেওয়া সিংহভাগ লোকজনই শেষ পর্যন্ত প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হাসপাতালের আউটসোর্সিং পরিষেবার কর্মীদের একাংশের সঙ্গে এই দালালদের যোগাযোগ ছিল।