জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
১ জুলাই কলকাতায় আয়োজিত হতে চলেছে জেডএসআই ডে। ১ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনমি সম্মেলন। বুধবার সেটির ঘোষণা করতে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। সেখানে জেডএসআইয়ের অধিকর্তা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই আধার কার্ডের কথা। পোশাকি নাম হচ্ছে ‘ফনা অব ইন্ডিয়া চেকলিস্ট পোর্টাল’। বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব এটির সুচনা করবেন। তবে, পূর্ণাঙ্গভাবে এটি তৈরি হতে আরও চার-পাঁচ বছর সময় লাগবে। এছাড়াও, জেডএসআই কলকাতা এবং আইসিএআর-এনবিএফজিআরের যৌথ সম্পাদনায় ‘বারকোড অ্যাটলাস অব ইন্ডিয়ান ফিশেজ’ নামে একটি বইও প্রকাশিত হতে চলেছে। তাতে ভারতীয় সমস্ত মাছের বারকোড সম্বলিত ছবি ও তথ্যাদি থাকবে।
ধৃতিদেবী জানিয়েছেন, অনেক কীট-পতঙ্গের ক্ষেত্রে বেশ কিছু মিসিং লিঙ্ক রয়েছে। হয়তো কয়েকশো বছর আগের নথি রয়েছে। আবার খুব আধুনিক সময়ের নথি মিলছে। মাঝের সময়গুলির তথ্য নেই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বিদেশের মিউজিয়ামে সেগুলির নথি রয়েছে। সেই কারণে, লন্ডনের মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে জেডএসআই। বার্লিন মিউজিয়ামের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। এমনকী, পাকিস্তানের বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এসব তথ্য আহরণের জন্য। সেখানকার মূল্যবান ছবির প্রতিলিপি এবং ডিজিটাল নথি নিয়ে আসা হবে এখানে। ২০২৩ সাল জুড়ে প্রায় ৬০০টি প্রাণী এবং ৩০০টি নতুন ধরনের প্রাণীর খোঁজ মিলেছে দেশে। সেই সংকলন ‘অ্যানিম্যাল ডিসকভারিজ-২০২৩’ নামে প্রকাশিত হচ্ছে। সেটিরও উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি ভারতের পতঙ্গ, লাক্ষাদ্বীপের জীববৈচিত্র্য, গোয়ার পাখিজগৎ, সব ধরনের মাছির ক্যাটালগ প্রভৃতিও প্রকাশিত হচ্ছে ১ জুলাই। বনমন্ত্রকের তরফে অনুষ্ঠানে অভ্যাগতদের একটি করে গাছের চারা দেওয়া হবে। সেটির সঙ্গে থাকবে একটি ট্যাগ। সেখানে নিজের মায়ের নাম লিখে পছন্দের এলাকায় সেটি বপন করে পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করতে পারবেন তাঁরা।