জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
বন্দিদের মধ্যে অনেকে আগে থেকেই নেশা করতেন। কিন্তু সংশোধনাগারে এসে নেশার সামগ্রী না পেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের স্বাভাবিক আচরণের পরিববর্তন ঘটে যায়। কারা দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, যাঁরা ট্রায়ালে আছেন কিংবা সাজার সময়সীমা পেরিয়ে সংশোধনাগারের বাইরে বেরবেন, তাঁদের সুস্থ করে তোলা সামাজিক কর্তব্য। সেই সূত্রেই নেশামুক্তির জন্য ‘বিবর্তন’ নামের বিশেষ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এজন্য সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোলজিস্টদের নিয়ে টিম তৈরি করা হচ্ছে। তাঁরা প্রেসিডেন্সি, দমদম, বারুইপুর, বহরমপুর ও জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং কাউন্সেলিং করবেন। ওই বন্দিদের কী কী শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, তারও বিস্তারিত খোঁজ নেবেন তাঁরা। এরপর তাঁরা উপযুক্ত পরামর্শ এবং প্রয়োজনমতো ওষুধ দেবেন বন্দিদের। কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, আমরা চাই সংশোধনাগারের আবাসিকরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সবসময়ই খুব ভালো থাকুন। তার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। এজন্য বন্দিদের নেশামুক্ত করতে বিবর্তন নামের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের আশা, এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে।
তবে মন্ত্রী এও বলেছেন যে, পর্যাপ্ত সংখ্যক মনোবিদ ও চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। ফলে পাঁচটি সংশোধনাগারেই উদ্যোগটি খুব ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলজিস্ট পাওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কারা দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, বন্দিদের নেশার আসক্তি কাটাতে পারলে তাঁদের আগামী দিনগুলি সুখের হতে পারে। নেশার জন্য যেকোনও উপায়ে টাকার জোগাড় কিংবা নেশার টাকা না পেয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ফেলার মতো অবাঞ্ছিত বিষয়ও বন্ধ হতে পারে।