আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এমন বহু অব্যবহৃত জমি রয়েছে, যার পরচাই করায়নি দপ্তরগুলি। যার নামে পরচা থাকে, তার নামেই সংশ্লিষ্ট জমি নথিভুক্ত থাকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের তথ্য ভাণ্ডারে। আর তা না থাকায়, জমি বেহাত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলেই আধিকারিকদের মত। আর
সেই কারণেই, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের তরফে জমির পরচা করানো নিয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) পাঠানো হচ্ছে সমস্ত দপ্তরে।
সূত্রের খবর, জমির পরচার আবেদনের জন্য এসওপি অনুযায়ী ভূমি সংস্কার দপ্তরের ই-ভূচিত্র পোর্টালের এলএ মডিউলে ঢুকে সংশ্লিষ্ট এডিএমের (এলআর) কাছে পাঠাতে হবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে পরচা তৈরির দায়িত্বে থাকবে সংশ্লিষ্ট বিএলআরও-র। এই পদ্ধতিতেই নিজেদের অব্যবহৃত জমির পরচা পাবে দপ্তরগুলি। মূলত পূর্ত, সেচ এবং কেএমডিএ-র হাতে প্রচুর জমি রয়েছে। মূলত সরকারি জমির একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু হয়েছে।
রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত শতকের ৮০-৯০ দশকে অধিগ্রহণ হওয়া জমির মধ্যে যে সমস্ত জমি অব্যবহৃত রয়েছে, তার অধিকাংশের পরচা হয়নি। এমনও দেখা গিয়েছে, জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরেও সেই জমি অন্য কাউকে বেচে দিয়েছেন জমির মালিক। ভূমিদপ্তর থেকে জমি হস্তান্তরের পরে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ক্ষতিপূরণ মেটানোর পর, সেই জমি নিজের নামে করতে পরচা তৈরি করতে হয়। এতদিন সেই কাজ না হওয়ায় বর্তমানে পরচা তৈরির হিড়িক পড়ে গিয়েছে বলেই তিনি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে, নদী থেকে অবৈধভাবে বালি-পাথর তোলা ঠেকাতে তৎপর হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। ছ’দফা নির্দেশিকায় জেলা প্রশাসনকে বিএলআরও অফিসগুলিতে দালাল রাজ আটকানো, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। মিউটেশনের ক্ষেত্রে দেরি হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকায়। সরকারি জমি চিহ্নিত করতে সাইন বোর্ড লাগানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাসে অন্তত দু’বার অব্যবহৃত সরকারি জমিগুলির পরিদর্শনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।