আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে বরানগর পুরসভা জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য শহরবাসীর থেকে মাসে ২০ টাকা হিসেবে কর নিতে শুরু করে। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, বরানগরের ৩৪টি ওয়ার্ডে প্রায় ৮৬ হাজার বাড়ি রয়েছে। প্রতিটি বাড়ি থেকে মাসে ২০ টাকা করে নেওয়ার জন্য একটি পৃথক টিমও তৈরি করা হয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে পুরসভা। পুরকর্মীরা ই-পস মেশিন নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ওই কর আদায় শুরু করেছেন। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোটের কথা মাথায় রেখে গত তিন মাস জঞ্জাল কর আদায়ে কিছুটা গা-ছাড়া ভাব দেখিয়েছিল পুরসভা। ভোট মিটতেই নতুন উদ্যমে কর আদায়ের পরিকল্পনা হচ্ছিল। কিন্তু সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর পুরসভার আধিকারিকরাও দ্বিধায় পড়েছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে ১৬ হাজার, ডিসেম্বর মাসে ১৪ হাজার, জানুয়ারি মাসে ২৭ হাজার ৩৮৬, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬ হাজার, মার্চে মাসে ২১ হাজার, এপ্রিলে ১৫ হাজার ও চলতি জুন মাসে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ সাত হাজার বাড়ি থেকে জঞ্জাল কর আদায় করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দা সুহৃদ পাল, সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কর চাপানোর বিরুদ্ধে। অথচ পুরসভা ইউজার ফি নাম দিয়ে মাসে মাসে কর নিচ্ছে। পুরসভার কর্তাব্যক্তিরা এভাবে কার্যত জমিদারি চালাচ্ছেন। আশপাশের কোনও পুরসভায় এমন কর নেওয়া হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে এই কর বাতিল করা উচিত।’ এ বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক বলেন, ‘এটা কোনও কর নয়। সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। রাজ্যের বিভিন্ন ওয়ার্কশপে এনিয়ে আলোচনা হয়। তখন এই চার্জ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আগামী দিনে আলোচনা করেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’