আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। বাম আমলে লোডশেডিং ছিল জ্বলন্ত সমস্যা। রাজ্যে পালাবদলের পর সেই যন্ত্রণা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমানে লোডশেডিংয়ের মাত্রা উত্তরোত্তর বাড়ছে বারাসত মহকুমায়। দিন বা রাতে নিয়ম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকছে। ফলে, এই গরমে অতিষ্ঠ অবস্থা মানুষের। দপ্তরের দাবি, অনেক বাড়িতে একটি এয়ার কন্ডিশন মেশিন বসানোর অনুমতি নিলেও বসানো হচ্ছে একাধিক। ফলে, ট্রান্সফরমারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে, তার জেরেই লোডশেডিং বাড়ছে। কিন্তু এর মোকাবিলার ব্যাপারে দপ্তরের তরফে তেমন কোনও পদক্ষেপ এখনও নজরে পড়েনি বলেই অভিযোগ। সদর শহর বারাসতে এই যন্ত্রণা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আগে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হতো। কিন্তু এই বছরে দিনে চাহিদা বেড়ে হয়েছে ৩০০ মেগাওয়াটেরও বেশি। ফলে সঙ্কট একটা থাকছেই। মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের জোগান ঠিক থাকলেও তা সমহারে বণ্টন হচ্ছে না বলে অভিযোগ। মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তেও একই কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা হলেও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসতের কদম্বগাছির বাসিন্দা সঞ্জু পাল বলেন, একটা সময়ে বাম আমলে ব্যাপক লোডশেডিং হতো। রাজ্যে পালাবদলের পর সেই সমস্যা কিছুটা কমেছে। কিন্তু ইদানীং যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তা বাম আমলকেও ছাড়িয়ে যাবে। দপ্তরের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। পাশাপাশি চাষের কাজেও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যাহত হচ্ছে সেচের কাজ। বারাসত পুরসভার বাসিন্দা সোনাই পাত্র বলেন, লোডশেডিং নিয়ে কিছু না বলাই ভালো। দীর্ঘদিন ধরে শুনছি, এর থেকে আমরা মুক্তি পাব, কিন্তু কোথায় কী! বরং যত দিন যাচ্ছে, লোডশেডিংয়ের মাত্রা ততই বাড়ছে। লোকসভা ভোটের আগেও সমস্যা এতটা ছিল না। এখন ভোট মিটে যেতে পরিষেবা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিশনাল ম্যানেজারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তবে বারাসতের মহকুমা শাসক সোমা দাস বলেন, এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।