আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
২২-২৫ জুন কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় বিএসএফ ও বিজিবির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন। বাংলাদেশ থেকে এসেছিল ১২ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দল। তার নেতৃত্ব ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম আহমেদ। অন্যদিকে, ভারতের তরফে ১৫ সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি আয়ুশমণি তেওয়ারি।
বিএসএফ জানিয়েছে, সম্মেলনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং। অপারেশনাল দক্ষতা বাড়াতেই রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে, সময়মতো যথার্থ তথ্য পেলে উভয় দেশের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। দ্বিতীয় লক্ষ্য, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ। বিএসএফ জওয়ান এবং ভারতীয় নাগরিকদের উপর বাংলাদেশি পাচারকারীদের লাগাতার হামলার প্রসঙ্গটিও বৈঠকে ওঠে। এই ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করারই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে যৌথ টহলও চলবে।
তৃতীয় লক্ষ্য, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার রোধ। বাংলাদেশি নাগরিকদের একাংশের তরফে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের ঘটনাও আলোচিত হয়েছে। সমস্যাটি কঠোরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সহমত হয়েছে দু’পক্ষই। চতুর্থ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে চলবে যৌথ টহলদারি। দু’দেশই মনে করে, এতে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়বে এবং অপরাধীদের উপর নজরদারির ব্যবস্থাটি হবে আরও উন্নত। যৌথ আলোচনার নথিতে স্বাক্ষর করেছে দু’দেশই। গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে তারা।