আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
হাওড়া শহরে অব্যবস্থার তল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই ফুটপাত দখল হয়ে গিয়েছে বহু আগে। বাধ্য হয়েই পথচারীদের যেতে হয় রাস্তা ধরে। বহু জায়গায় আবার সেই রাস্তার একাংশ চলে গিয়েছে দখলদারদের কব্জায়। শহরবাসীর আশঙ্কা, ফুটপাত উদ্ধার তো পরের কথা, রাস্তার দখল হওয়া অংশ কি খালি করতে পারবে পুলিস?
উত্তর হাওড়ার অরবিন্দ রোড, পিলখানা থেকে শুরু করে হাওড়া ময়দান হয়ে কাজিপাড়া পর্যন্ত ফুটপাত বলে কিছু নেই। সবটাই দোকানিদের দখলে। কোনওদিনই পুলিস এই সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটেনি। শুধু তাই নয়, অনেক সময় পুলিসের সদিচ্ছা থাকলেও রাজনৈতিক দাদাদের ‘মদতে’ দখল হয়েছে ফুটপাত। মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দেওয়ার পর শহরবাসী চাইছেন, এবার অন্তত একটু স্বাধীনভাবে কাজ করুক পুলিস। মুক্ত হোক রাস্তা ও ফুটপাত। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, কিছু মানুষের রুটি-রুজি চলে যাবে, এই অজুহাতকে ঢাল করে দিনের পর দিন দখলদারের সংখ্যা বেড়েছে হাওড়া শহরে। একইভাবে নেতাদের প্রশ্রয়ে হয়েছে টোটোর বাড়বাড়ন্ত। যাত্রীর থেকে যেন টোটোর সংখ্যা বেশি। তারাই দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তাজুড়ে।
হাওড়া ময়দান, পিলখানার মতো জায়গায় ফুটপাত ছাড়িয়ে দখলদাররা নেমে এসেছে রাস্তায়। যা নিয়ে পথচারীরা বলছেন, পুলিস ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচিতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মানুষকে বলছেন, ফুটপাত দিয়ে হাঁটাচলা করতে। আর সেই ফুটপাত যখন ‘চুরি’ হয়ে যাচ্ছে, তা ঠেকানোর কোনও উদ্যোগ সেই পুলিস দেখাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা অনিরুদ্ধ কর্মকার বলেন, হকারদের পুনর্বাসন দিতে প্রয়োজনে অন্য জায়গায় মার্কেট তৈরি করে দিক প্রশাসন। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা হবে কেন? অনেক জায়গায় টাকা নিয়ে ফুটপাতে লোক বসানো হয় বলে শুনেছি। পুলিসের উচিত এসবের তদন্ত করা।
অবশেষে ঘুম ভাঙার পর হাওড়া পুলিস বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তার মধ্যে হাওড়ায় ২৮৩টি বেআইনি পার্কিং এবং ট্রাফিক আইনে মামলা করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় দখল হওয়া রাস্তার একাংশ খালি করা হয়েছে। মাইকিং করে রাস্তা ও ফুটপাতের অংশবিশেষ ছেড়ে দেওয়ার জন্য দোকানিদের আর্জি জানিয়েছে পুলিস। শালিমার, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন জি আর রোড, জি টি রোড, ডবসন রোড, বেলিলিয়াস রোড, কদমতলা, ড্রেনেজ ক্যানাল রোড এবং বাঁকড়ার মতো একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিস। এ নিয়ে হাওড়ার ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) সুজাতা কুমারী বীণাপানি বলেন, প্রথম দিনেই আমরা অনেক জায়গায় দখল হয়ে যাওয়ার রাস্তা এবং ফুটপাত খালি করেছি। ধীরে ধীরে অন্যান্য জায়গাতেও ফুটপাত এবং রাস্তা দখলমুক্ত করার কাজ হবে। বেআইনি পার্কিং নিয়ে নিয়মিত অভিযান চলবে। -নিজস্ব চিত্র