আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রশাসন কর্তাদের বক্তব্য, নাবালিকাদের এই প্রবণতা আটকাতে নিয়মিত স্বয়ংসিদ্ধা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তবুও এই প্রবণতা আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। একশ্রেণির মানুষের মতে, শুধু মোবাইলের প্রতি আকৃষ্ট হওয়াই নয়, অভিভাবকদের উদাসীনতাও এর অন্যতম কারণ। শুধু মোবাইল নয়, যেমন দিশাহীন অবস্থায় অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা হাঁটছে, সেটাই এই প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন উলুবেড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল। তবে এই প্রবণতা এখন বাড়ছে, না এখন এর প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে, সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, মূলত সমাজে অনিশ্চয়তা বাড়লে এইভাবে হারিয়ে যাওয়া, পালিয়ে যাওয়া, চলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তবে পুলিস প্রশাসনের থেকেও সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচিতে কন্যাশ্রী ছাত্রী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলদের যুক্ত করতে পারলে এই প্রবণতা অনেকটাই কমবে বলে আশা করেন দেবাশিসবাবু।
নাবালিকাদের পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেকথা স্বীকার করেছেন তুলসীবেড়িয়া মহিলা সমিতির সম্পাদিকা কল্যাণী পালুই। তিনি জানান, এই নিয়ে নাবলিকাদের সচেতন করতে স্কুলে স্কূলে শিবির করলেও এটা আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে শুধু মোবাইল নয়, পাশাপাশি অত্যধিক পড়াশোনার এবং অন্যান্য চাপ সহ্য করতে না পারাও এর অন্যতম কারণ। আর এই প্রবণতা আটকাতে হলে শুধু নাবালিকাদের নয়, পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের, স্কুলের শিক্ষিকা এবং প্রাইভেট টিউটরদের নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি করলে সুফল মিলবে।