নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বিভিন্ন জায়গায় যখন বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ, তখন বর্ষার আগে অন্য ছবি বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে। মন্ত্রী সুজিত বসুর নির্দেশে এবং কাউন্সিলার আলো দত্তের উদ্যোগে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা প্রতি সপ্তাহে একটি করে পুকুর পরিষ্কার করছেন। রুটিন করেই এই কাজ করা হচ্ছে। বর্ষার আগে এই কাজে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরতলা এলাকার একটি বড় পুকুর পরিষ্কার করা হয়েছে। এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাঁরাও কাউন্সিলারের সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় নেমে পড়েছেন।
বিধাননগর বিধানসভা এলাকায় পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানে এবার লোকসভা নির্বাচনে ১০টি ওয়ার্ডে হেরেছে তৃণমূল। কিন্তু, এই ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে দু’হাজারের বেশি ভোটে লিড পেয়েছেন শাসকদলের প্রার্থী। এমনকী, এই ওয়ার্ডের প্রতিটি বুথেই জিতেছে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, সারা বছর উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই এই সাফল্য এসেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে এই ওয়ার্ডে ৬৮টি পুকুর রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে পুকুর সাফাই করা হচ্ছে। যেহেতু বর্ষা আসছে, তাই তার আগে এই কাজে গতি আনা হয়েছে। গত দু’সপ্তাহে চারটি পুকুর পরিষ্কার করা হয়েছে। ওইসব পুকুরগুলি কুচুরিপানায় ভরে গিয়েছিল। এই উদ্যোগের ব্যাপারে কাউন্সিলার আলো দত্তের স্বামী তথা প্রাক্তন কাউন্সিলার নির্মল দত্ত বলেন, পুকুরগুলি আগে আগাছায় ভরে থাকত। জমা জলে ডেঙ্গুর মশা হতে পারে। তাছাড়া, এলাকায় দূষণও ছড়ায়। পুকুরগুলি এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। তাই মন্ত্রী সুজিত বসুর নির্দেশে ও আমাদের কাউন্সিলারের উদ্যোগে আমরা প্রতি সপ্তাহে একটি করে পুকুর পরিষ্কার করছি। সারা বছর এই কর্মকাণ্ড চলে। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা যুক্ত হয়েছেন। সবার উদ্যোগেই আমরা ৬৮টি পুকুর বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি।-নিজস্ব চিত্র