যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিস জানতে পেরেছে, আদতে রিভু বাংলাদেশের তরুণী। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে তিনি এই দেশে চলে আসেন। ঠাকুরনগরে থাকাকালীন সেখানেই পরিচয় হয় তার সঙ্গে পিন্টুর। দু’জনে বিয়েও করেন। এরপর কর্মসূত্রে তাঁরা যান মুম্বই। অভিযুক্ত মুঙ্গেশের সঙ্গে দু’জনের পরিচয় সেখানেই। প্রাথমিক আলাপচারিতার পর বছর উনত্রিশের রিভু বিশ্বাস ওরফে সোনালির সঙ্গে মুঙ্গেশের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রথম পর্যায়ে এই সম্পর্কের কথা জানতেন না পিন্টু। পরে তিনিও অবগত হন। তদন্তকারীদের ধারণা, সম্ভবত অর্থনৈতিক কারণেই সব জেনেও মেনে নিয়েছিলেন পিন্টু। সম্প্রতি রিভু এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তাতেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। বেশ কয়েকমাস ধরে তাই নিয়ে সমস্যা চলছিল। কয়েকদিন আগে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা করতেই হাওড়া এসেছিল মুঙ্গেশ। হাওড়া স্টেশনের কাছে একটি হোটেলে থাকছিল সে। বুধবার চলে যাওয়ার আগে ২৩ নম্বর প্লাটফর্মের কাছে চা খাচ্ছিল সে এবং সস্ত্রীক পিন্টু ও তাঁদের দুই সন্তান।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে ধৃত মুঙ্গেশ যাদব আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চপারে হাত কেটেছে তারও। এছাড়া উন্মত্ত মুঙ্গেশকে থামাতে ঘটনার দিন কয়েকজন রেলযাত্রী দূর থেকে ইট ছুড়েছিলেন। তার ক্ষত রয়েছে পায়েও। এরই মাঝে স্বল্প জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীদের কাছে মুঙ্গেশ দাবি করে, সম্পর্ক থাকাকালীন প্রথম দু’দফায় পাঁচ লক্ষ করে মোট ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। তারপরেও বেশ কয়েক ধাপে আরও প্রায় সাত লক্ষ টাকা দিয়েছিল সে। কিন্তু তারপরেই বিয়ে করতে অস্বীকার করেন যুবতী। ফোনে মানি ট্রান্সফার অ্যাপ খুলে টাকা পাঠানোর বেশ কিছু ট্রানজাকশনও পুলিসকে দেখিয়েছে ধৃত। অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুঙ্গেশকে মঙ্গলসূত্র এবং কানের দুল কিনে আনতে বলেছিল রিভু। তার বদলে দু’খানা চপার নিয়ে গিয়েছিল সে। এরপর মাথা যন্ত্রণার ওষুধ আনতে বলে পিন্টুকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে মহিলার পেটে কোপ বসায় মুঙ্গেশ। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মৃতার স্বামী পুলিসের সঙ্গে দেখা করেননি। এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।