নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
এদিন প্রায় একই সময়ে হাইকোর্ট এবং তমলুক আদালতে কুরবান শা’র মামলা ওঠে। বিকেল ৩টা নাগাদ নিম্ন আদালত মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সায় দেয়। তারপরই তড়িঘড়ি তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা জেলবন্দি আনিসুরকে বের করা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের ওই মামলা প্রত্যাহারের বিপক্ষে রায় দেয়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এক্ষেত্রে নিম্ন আদালত মুক্তি দিলেও, অভিযুক্তকে পুনরায় গ্রেপ্তার করতে হবে। সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও দ্রুত পুলিস সুপারের কাছে পৌঁছে যায়। তারপরই আনিসুরকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়।
বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ আনিসুর রহমানের অনুগামীরা তৃণমূলের পতাকা হাতে তমলুক হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেন। সেখানে জেলবন্দি নেতাকে বের করে লম্বা গাড়ির কনভয় মেচেদার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এসপি-র কাছে আনিসুরকে গ্রেপ্তারের নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে সবক’টি থানায় আনিসুরকে গ্রেপ্তার করার জন্য নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সন্ধ্যা নাগাদ কোলাঘাট থানা এলাকা থেকে আনিসুরকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানায় আনা হয়। আজ, বুধবার তাঁকে তমলুক কোর্টে তোলা হবে।
মঙ্গলবার সকালে তমলুক কোর্টে দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন নিহত কুরবান শা’র স্ত্রী তথা মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শাবানা বানু খাতুন। আনিসুর ঘনিষ্ঠরা কুরবান শা’র স্ত্রীকে কোর্ট ক্যাম্পাসেই মারধর করে বলে অভিযোগ। তাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁকে সাহায্য করতে একজন আইনজীবী এগিয়ে এলে তাঁকেও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা ছবি তুলতে গেলে তাঁদের হুঁশিয়ারি দেন আনিসুর অনুগামীরা। কিছুক্ষণ পর তমলুক থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্ট ওই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। এর পরের ধাপ হল সেটি আদালতে পেশ করা। সোমবার সেই কাজটা করেছেন মামলার সরকারি আইনজীবী আব্দুল মোহিত। মঙ্গলবার বিচারক স্মিতা গৌরীসারিয়া তাতে সিলমোহর দেওয়ার কিছুক্ষণ পর হাইকোর্ট মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়।