উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এদিকে, শুধুমাত্র পূর্ব রেলই নয়, যাত্রী স্বার্থে লোকালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২৫ শতাংশ ট্রেন বাড়াচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দিনে ১৫২টি ট্রেন চলে কলকাতার পাতাল রেলে। ১১ নভেম্বর থেকে চলবে ১৯০টি। এখন দিনের ব্যস্ত সময়ে আট মিনিট ব্যবধানে চলে মেট্রো। বুধবার থেকে সেই ব্যবধান হবে সাত মিনিটের। দিনের অন্য সময়ে এখন ১৫ মিনিট অন্তর চলে মেট্রো। বুধবার থেকে তা চলবে ১০ মিনিটের ব্যবধানে। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো অবশ্য এখনই ট্রেনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে না।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনের ব্যস্ত সময়ে যাতে বেশি সংখ্যক ট্রেন চালানো যায়, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তাদের পাঠানো প্রস্তাবে। প্রস্তাব অনুযায়ী, শিয়ালদহ ডিভিশনে ব্যস্ত সময়ে ৮৩ থেকে ৮৮ শতাংশ লোকাল চলবে। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটে থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অংশকে দিনের ‘ব্যস্ত সময়’ হিসেবে ধরা হয়। করোনা আবহের আগে প্রতিদিন সকালের ওই সময়ে শিয়ালদহে ঢুকত ৫১টি লোকাল। বিকেলের ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে যেত ৫৮টি লোকাল। বুধবার থেকে সকালে শিয়ালদহে ঢুকবে ৪৫টি (মেইন/নর্থে ২৭টি এবং দক্ষিণ শাখায় ১৮টি) এবং বিকেলের ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে যাবে ৪৮টি (মেইন/নর্থে ৩২টি এবং দক্ষিণ শাখায় ১৬টি) ট্রেন। অপরদিকে, হাওড়া ডিভিশনে দিনের ব্যস্ত সময়ে ৬৫ থেকে ১০০ শতাংশ লোকাল চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল।
করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে ব্যস্ত সময়ে সকালে হাওড়ায় ঢুকত ৩১টি লোকাল। বুধবার থেকেও সেই সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকছে। অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সময়ে ১০০ শতাংশ লোকাল থাকছে হাওড়ামুখী যাত্রীদের জন্য। বিকেল-সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে হাওড়া থেকে ছেড়ে যেত ৩৭টি লোকাল ট্রেন। বুধবার থেকে ওই সময়ে হাওড়া ছেড়ে যাবে ২৪টি লোকাল (৬৫ শতাংশ)। যাত্রী সুরাহায় শুরু থেকেই বেশি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকে জানানোর পাশাপাশি চিঠিতে পূর্ব রেলের শীর্ষ কর্তার অনুরোধ, শিয়ালদহ এবং হাওড়া সহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলি থেকে যাতে সড়ক সহ অন্য পরিবহণ পরিষেবা যাত্রীরা যথাযথ পান, সেটা দেখা হোক।