উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুলিস কমিশনার বারবার বলছেন, থানায় গেলে অভিযোগকারীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং শুনতে হবে তাঁদের কথা। সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করে প্রতিটি ঘটনার দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। কোথাও কোনও গাফিলতি রাখা যাবে না। তাঁর এই নির্দেশ যাতে পুলিসের সমস্ত স্তরে পৌঁছয় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে পুলিসের শীর্ষ স্তর থেকে। তারপরেও কলকাতা পুলিসের এক অফিসারের এই ধরনের আচরণ কর্তাদের বিড়ম্বনায় ফেলেছে। সেই সঙ্গে সুনাম নষ্ট করছে বলে বক্তব্য কর্তাদের।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ অক্টোবর। যাদবপুর থানা এলাকার এক বাসিন্দা থানায় আসেন। অভিযোগ করেন তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে কয়েকজন। ফোনে শাসানো হচ্ছে। তাঁর পক্ষে বাড়িতে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। অভিযোগকারী এ-ও বলেন, পরিচিত কেউ এই কাজটি করছে। এই সময় ডিউটি তে ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর রবিশঙ্কর নস্কর। অভিযোগ, তিনি অভিযোগকারীর বক্তব্যকে পাত্তা দেননি। বারবার তাঁকে থামিয়ে দেন। উল্টে বলতে থাকেন, এটা আদালতগ্রাহ্য অপরাধ নয়। তাই এই অভিযোগ নেওয়া যাবে না। তিনি যুক্তি দেন এই ধরনের অভিযোগ লিখিতভাবে করা যায় না। আদালত থেকে অভিযোগকারী যদি কোনও নির্দেশ বের করে আনতে পারেন তা হলে অভিযোগ নেওয়া যেতে পারে। তারপরেও অভিযোগকারী দমে যাননি। এরপর ওই সাব-ইন্সপেক্টর কথা পাল্টে জানান, বড়বাবুর সঙ্গে কথা না বলে কেস করা সম্ভব নয়। উনি এখন থানায় নেই। অভিযোগকারীর বক্তব্য, অভিযোগ জানাতে গিয়ে তাঁকে হেনস্তা হতে হয় এবং বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হতে থাকে। অভিযোগ করতে না পেরে তিনি ফিরে যান। এরপর বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ কর্তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। অভিযোগকারীর কাছ থেকে সমস্ত বক্তব্য শোনা হয়। তড়িঘড়ি ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয় এবং সরিয়ে দেওয়া হয় যাদবপুর থানা থেকে। তাঁকে পাঠানো হয় সাউথ সবার্বান ডিভিশনের অফিসে। তাঁর উপরে থাকা সাসপেনশন কয়েকদিন আগে তুলে নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত চললেও তাঁকে পাটুলি থানায় বদলি করা হয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর রবিশঙ্করবাবু এ বিষয়ে মিডিয়াকে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।