উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
নামল কলকাতা পুলিস। শহরের বড়বাজার, পোস্তা, বাগরি মার্কেট, ক্যানিং স্ট্রিটের মতো এলাকায় মাইকে প্ৰচার শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী দিনে হোর্ডিং ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন প্রচার চলবে বলে লালবাজার জানিয়েছে।
তবে শুধু সচেতনতা নয়। বাজির বিরুদ্ধে কড়া অভিযানে নামতে চলেছে কলকাতা পুলিস। একদিকে যেমন শহরের ঢোকা ও বের হওয়ার পথে বাজি রুখতে নাকা চেকিং শুরু হচ্ছে, তেমনই বড়বাজার, পোস্তা, জোড়াসাঁকো, বৌবাজার, তারাতলার মতো থানা এলাকায় ট্রান্সপোর্ট সংস্থায় নজরদারি শুরু হবে। পাশপাশি, ধর্মতলা, বাবুঘাটের মতো বাস স্ট্যান্ডগুলিতেও নজরদারি চালাবেন গোয়েন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, কলকাতার ৭৮টি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, বাজি কেনাবেচায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগও বাজির বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে।
তবে একটা সমস্যার কথা জানিয়েছে পুলিস-প্রশাসন। রাজ্যের মতো রাজস্থান ও ওড়িশার মতো কিছু রাজ্য কোভিড রোগীদের কথা ভেবে বাজি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু দেশের সব রাজ্য এখনও বাজিতে নিষেধাজ্ঞা
জারি করেনি। তা ছাড়া কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ভিন রাজ্যে বাজি রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তাই বাজির বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিসকেও বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
আবার পুলিসের একাংশ বলছেন, হাইকোর্টের রায় হাতে আসার পর কালীপুজোর মাত্র সাত দিন বাকি। কিন্তু ইতিমধ্যে শহরের ছোট-বড় ব্যবসায়ীর দোকানে বাজি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে বাজি ঠেকানো এবার বড় চ্যালেঞ্জ। অতীতে শুধু শব্দবাজি ঠেকাতে গিয়ে নাকাল হতে হয়েছে পুলিস-প্রশাসনকে। এবারও কি সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে?