উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, জয়পুরের বাসিন্দা জাহ্নবীদেবী গত সোমবার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার রাতে সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্ট হওয়ায় শিশুকে নিয়ে মা বাবা ও জেঠু একটি মারুতি ভ্যান ভাড়া করে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটিকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার বাবাকে হাসপাতালে রেখে শিশুটির মা ও জেঠু বাড়ির পথে রওনা দেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ গাড়িটি আমতা অভিমুখে যাওয়ার সময় লালপোলের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেইনারের পিছনে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রদীপ আদক ও দীপু মণ্ডলের মৃত্যু হয়। আহত জাহ্নবী আদককে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, গাড়িচালক ঘুমিয়ে পড়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ আদক পরিবার। মৃতের ভাই জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ভাইপো অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে জয়পুরের বিভূতিভূষণ ধর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে এনআরএসে ভর্তি করার পর বাচ্চার বাবা সেখানেই থেকে যায়। বড়দা ওই বউদিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় দুর্ঘটনা। এদিকে, এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিসের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। - নিজস্ব চিত্র