হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
লালবাজারের এক বিশ্বস্ত সূত্র জানাচ্ছে, নারকোটিক শাখার ওসি বিশ্বজিৎ বণিকের বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মার কাছে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার জেরেই এই বদলি বলে মনে করা হচ্ছে। খোলা চোখে কলকাতা পুলিসের আর পাঁচটা ওসি বদলির সঙ্গে নারকোটিক সেলের ওসি বদলির একটি তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য নজরে এসেছে। তাই এই বদলি ঘিরে পুলিস মহলে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। টালিগঞ্জকাণ্ডের জেরে এদিনই পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা (অর্ডার নম্বর ৩৩২) টালিগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি সহ পাঁচজন ওসিকে বদলি করেছেন। ঠিক এরপরেই একটি পৃথক অর্ডারে (অর্ডার নম্বর ৩৩৩) সিপি গোয়েন্দা বিভাগের নারকোটিক শাখার ওসি বিশ্বজিৎ বণিককে স্পেশাল ব্রাঞ্চে বদলি করেন।
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র বলছে, সম্প্রতি গোয়েন্দা বিভাগের এই নারকোটিক শাখার কাজকর্ম নিয়ে বারবার অভিযোগ আসছিল শীর্ষকর্তাদের কাছে। পাশাপাশি, এই শাখার গোয়েন্দাদের কাজকর্ম নিয়ে মোটেও খুশি ছিলেন না বর্তমান গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা থেকে সিপি অনুজ শর্মা। সদ্য শেষ হওয়া ক্রাইম মিটিং ছাড়া অতীতের একাধিক ক্রাইম মিটিংয়ে সিপি গোয়েন্দা বিভাগের কাজ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন। কেননা, গত ১৫ দিনে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাক্স ফোর্সের গোয়েন্দারা পরপর শহরের তপসিয়া ও বন্দর এলাকা থেকে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার নিষিদ্ধ মাদক ‘ইয়াবা’ ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ন’জনকে গ্রেপ্তার করেন। সেখানে নারকোটিক শাখার গোয়েন্দারা ব্যর্থ।
স্বাভাবিকভাবেই নারকোটিক শাখার গোয়েন্দাদের কার্যকারিতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল লালবাজারে। কেননা, নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধারে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের অতীত অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাঁরা সাফল্য পাচ্ছেন। অথচ, নারকোটিক শাখার গোয়েন্দারা বারেবারে ব্যর্থ।