হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সীমান্তে আটক করা গোরু কাস্টমসের হাতে বা অন্য কোনও সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না। তবে ভালোভাবে খতিয়ে দেখে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং পুলিস প্রশাসনের হাতেই গোরু বিলি করে দিতে হবে। এদিন আইজি বলেন, স্থানীয় পুলিস থানাগুলিকে নিয়ে আমরা সীমান্তরক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছি। সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও গোরুর হাট থাকতে পারবে না বলেই নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেই হাট থাকছে। পুলিসকে এব্যাপারে আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য বলেছেন আইজি।
বিএসএফের জওয়ানদের কথায়, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার এলাকায় ২০১৭ সালে ৫১ হাজার ৪৪৩টি এবং ২০১৮ সালে ৩৮ হাজার ৬৫৭টি গোরুকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অন্তর্গত মোট পাঁচটি সীমান্ত জেলা রয়েছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। প্রায় ৯১৪ কিলোমিটারেরও বেশি ইন্দো-বাংলা সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচশো কিমি এলাকায় স্থল সীমান্ত এবং প্রায় ৩৬৪ কিমি জল সীমান্ত। আইজি বলেন, গোরুর গলায় সকেট বোমার পাশাপাশি সেগুলির পায়ে গো-মাংস বেঁধে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি থাকায় পাচারকারীরা ১০ কিমি দূর থেকে গোরুগুলিকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। মালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় এই ঘটনা সবথেকে বেশি। এছাড়াও ফেনসিডিল, সোনা-রুপোর গয়না, বন্যপ্রাণ, গোরু এপার থেকে বাংলাদেশ যায়। ওপার থেকে আসে সোনা-রুপোর গয়না, জাল নোট সহ অন্যান্য চোরাই মালপত্র। আগামী সেপ্টেম্বর এব্যাপারেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে বলে এদিন বিএসএফ কর্তারা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বিজিবি’র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিএসএফের কর্তারা।