উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত শিশুর নাম এন্দাদুল হক। বয়স মাত্র পাঁচ বছর। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মহম্মদ সাবির আলি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, উপরের আর্থিং তার কেটে ফেজের সঙ্গে লেগে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির আর্থিং তার বডি হয়ে গিয়েছিল। সকালে লক্ষ্য করার পরই বিপদ হতে পারে বুঝেই আমরা প্রায় সকাল ৬-৭টা থেকে প্রথমে ন’পাড়া ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে অনেকবার ফোন করি। সেখানে ফোন না তোলায় আমরা অনন্তপুর ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসেও বহুবার ফোন করি। সেখানেও রিং হয়ে যায় কেউ ফোন তোলেনি। পরে বেশ কয়েকজনের মোবাইল নম্বর থেকে কলকাতায় ফোন করে ‘ডকেট’ও করি। কিন্তু, বিদ্যুৎদপ্তরের কোনও লোকজন আসেনি।
তিনি বলেন, সকাল ১১টা নাগাদ ওই পাঁচ বছরের শিশুটি খেলতে খেলতে ওই বিদ্যুতের খুঁটির কাছে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। গ্রামবাসীরা তাকে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কোনওরকমে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, বিদ্যুৎদপ্তরের গাফিলতির জন্যই একটা পাঁচ বছরের শিশুর জীবন চলে গেল। এন্দাদুলের বাবা আরিজুল হক একজন ভ্যান চালক। খুবই গরিব পরিবার। তাই আমরা চাই, তার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। পাশাপাশি, বিদ্যুৎদপ্তরের ফোন রিং হয়ে যাওয়ার পরেও কেউ কেন তুলল না? বিদ্যুৎদপ্তর আমাদের বলেছে ফোন নাকি খারাপ। ওই গুরুত্বপূর্ণ ফোন খারাপ হলে মেরামত করা হয়নি কেন? আমরা চাই, বিদ্যুৎদপ্তরের ফোন যেন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। যাতে যে কোনও প্রয়োজনে এবং যে কোনও বিপদে আমরা ফোন করতে পারি।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আসলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হচ্ছে। তার জন্য বিএসএনএলের কিছু তার কেটে গিয়েছে। এর ফলে, আমাদের দপ্তরের ফোনও খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলস রিং হচ্ছে। আমরা আগে খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে যেতাম। তিনি বলেন, শটসার্কিট হয়েই আর্থিংয়ের তার উপরের মেন বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জুড়ে বডি হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে এই দুর্ঘটনা। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।