উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কামারহাটি আর উত্তর দমদমে গত বিধানসভায় তৃণমূল হেরেছিল। সিপিএম দু’টিতেই জয়ী হয়। এবার দু’টি বিধানসভাতেই সিপিএমের ভরাডুবি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএমের দখলে থাকা কামারহাটি বিধানসভায় তৃণমূল ৬৩ হাজার ৩৫৬ ভোট, বিজেপি ৪৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়েছে। আর সিপিএম পেয়েছে ২১ হাজার ৪৩৩টি ভোট। এই বিধানসভায় তৃণমূল ১৭ হাজার ৭২৫ ভোটে লিড পেয়েছে। সিপিএমের দখলে থাকা উত্তর দমদম বিধানসভায় তৃণমল ৮৩ হাজার ৯৯৫ ভোট, বিজেপি ৭৮ হাজার ৩৪৬টি ভোট পেয়েছে। আর সিপিএম পেয়েছে ৩৫ হাজার ৬০৪টি ভোট। এই বিধানসভায় ৫ হাজার ৬৪৯ টি ভোটে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের খাসতালুক খড়দহে তৃণমূল লিড পেলেও তা অন্যান্য বিধানসভার থেকে অনেক কম। এই বিধানসভায় তৃণমূল ৭৩ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছে, বিজেপি ৭২ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়েছে। আর সিপিএম ২০ হাজার ৬৯টি ভোট পেয়েছে। এই বিধানসভায় তৃণমূল ১ হাজার ২৬৮ ভোটে লিড পেয়েছে। পানিহাটি বিধানসভায় তৃণমূল ৭৩ হাজার ৮০২ ভোট, বিজেপি ৬৪ হাজার ৭১ ভোট পেয়েছে। আর সিপিএম পেয়েছে ২১ হাজার ৭৭০ ভোট। এই বিধানসভায় তৃণমূল ৯ হাজার ৭৩১ ভোটে লিড পেয়েছে। বরানগরে তৃণমূল ৭০ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়েছে, বিজেপি পেয়েছে ৫৫ হাজার ৪৮১ ভোট। আর সিপিএম ২৩ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়েছে। এই বিধানসভায় তৃণমূল ১৪ হাজার ৬৯৫ ভোটে লিড পেয়েছে। দমদম বিধানসভায় তৃণমূল ৭৬ হাজার ৫২৬ ভোট, বিজেপি ৭১ হাজার ৪১৪ ভোট এবং সিপিএম ২২ হাজার ৬০০ ভোট পেয়েছে। এই বিধানসভায় ৫ হাজার ১১২ ভোটে তৃণমূল লিড পেয়েছে। রাজারহাট-গোপালপুরে তৃণমূল ৭০ হাজার ৮৫ ভোট, বিজেপি ৭০ হাজার ৮২৮ ভোট এবং সিপিএম ২২ হাজার ২১২ ভোট পেয়েছে। এই বিধানসভায় বিজেপি ৭৪৩ ভোটে লিড পেয়েছে। আর কংগ্রেস কোথাও সাড়ে চার হাজার, কোথাও আবার সাড়ে তিন হাজার করে ভোট পেয়েছে। তৃণমূল মোট ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৬২টি ভোট পেয়েছে। বিজেপি ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬০টি ভোট পেয়েছে। আর সিপিএম পেয়েছে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৯০ এবং কংগ্রেস ২৯ হাজার ৯৭ ভোট পেয়েছে। বিজেপিকে হারিয়ে এই লোকসভায় তৃণমূল ৫৩ হাজার ২ ভোটে জয়ী হয়েছে।
সিপিএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলকে একমাত্র বিজেপি শায়েস্তা করতে পারে ধরে নিয়ে ওদের দিকে মানুষ ভোট দিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান বিরোধী জাতীয়তাবোধ কাজ করেছে। সবচেয়ে বেশি স্থায়ী সরকারের পক্ষে মানুষ ভোট দিয়েছে। তাই আমাদের ফল খারাপ হয়েছে। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বলেন, ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি এখানে নিজেদের ভোট বাড়িয়েছে। কিন্তু, এই লোকসভার মানুষ উন্নয়নের নিরিখে ভোট দিয়েছে। মোদি ঝড় এখানে আমরা রুখতে সক্ষম হয়েছি। বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায় বলেন, এবার এই আসনটিতে আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল। কেন এমন হল, তা ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখব।