বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মৃত বিশ্বজিতের বাবা পঞ্চানন বৈদ্যর সঙ্গে ধৃত শুভজিতের বাবা নগেন বৈদ্যর পুরনো বিবাদ ছিল। দুই পরিবারের বাড়ি পাশাপাশি। মাঝে মাঝেই তাঁদের মধ্যে ওই ইস্যুতে গণ্ডগোল হত। সম্প্রতি, বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা নিয়েও দুই পরিবারে ঝগড়া চলছিল। এইসব পুরনো গণ্ডগোল থেকেই বুধবার বিকালের পর সন্ধ্যার মুখে শুভজিৎ, বাবা নগেন বৈদ্য এবং শুভজিতের স্ত্রী রীতা বিশ্বজিৎদের বাড়িতে আমচকা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শুভজিৎ হাতে করে খড় কাটার ওই বঁটি নিয়েই গিয়েছিল। অভিযোগ, শুভজিৎ প্রথমে বিশ্বজিতের স্ত্রী জয়ন্তী বৈদ্যকে কোপ মারতে উদ্যত হয়। তখন বিশ্বজিৎ স্ত্রীকে বাঁচাতে যান। তখনই শুভজিৎ ওই বঁটি দিয়ে পিছন দিক থেকে বিশ্বজিতের ঘাড়ে সজোরে কোপ মারে। মুহূর্তের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বজিৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বুধবার রাতেই মৃত বিশ্বজিতের স্ত্রী জয়ন্তী বৈদ্য গাইঘাটা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ওই রাতেই পুলিস মূল অভিযুক্ত শুভজিৎকে গ্রেপ্তার করে। তবে, ঘটনার পর শুভজিতের বাবা নগেন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সারাদিন তার খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে এদিন রাতে পুলিস তাকেও গ্রেপ্তার করে। এদিকে, মৃত বিশ্বজিৎ বৈদ্যের স্ত্রী জয়ন্তীদেবী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, শুভজিৎ ও তার বাড়ির লোকজন হঠাৎ রণংদেহী মূর্তি ধারণ করে আমাকে খুন করতে এসেছিল। তখন আমার স্বামী আমাকে বাঁচাতে এলে সে স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করে। আমি আমার স্বামীর খুনিদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাই।