যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
তাদের হিসেব বলছে, কলকাতা ও শহরতলিতে গতমাসে যতগুলি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে, সেই বিক্রিবাটা গত প্রায় দেড় বছরে হয়নি। রাজ্য সরকার স্ট্যাম্প ডিউটিতে যে ছাড় বা আর্থিক সুবিধা জারি রেখেছে, তার প্রভাব আবাসন বাজারে রয়েছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ এবং সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় জারি রেখেছে রাজ্য সরকার। রেপো রেট উপরের দিকে থাকায় ব্যাঙ্কগুলিতে গৃহঋণের উপর সুদের হার চড়ে রয়েছে এখনও। তারপরই বাজার চাঙ্গা থাকায় খুশি আবাসন শিল্পমহল।
ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা ও শহরতলিতে মোট ৪,৮০৬টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। তার আগের মাস, অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা ছিল মাত্র ১,১৮৪। একমাসে বৃদ্ধির হার তিনগুণেরও বেশি। গতবছর ফেব্রুয়ারির সঙ্গে তুলনা করলে বৃদ্ধির হার ৬৪ শতাংশ।
উপদেষ্টা সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে কলকাতা ও শহরতলিতে ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছিল ৬,৭৮৮টি। করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ বিক্রির হার। তারপর একটু করে কমতে থাকে বিক্রিবাটা। এমনকী, গতবছর উৎসবের মরশুমেও বাজার এতটা চাঙ্গা হয়নি। ২০২২-এর নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত ফেব্রুয়ারিতেই বিক্রি সবচেয়ে বেশি, দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে মধ্যবিত্তের ফ্ল্যাট বিক্রির হারই সবচেয়ে বেশি। কলকাতা ও শহরতলিতে ৫০০ থেকে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ২,৩২২টি। এক কামরার ফ্ল্যাট, অর্থাৎ ৫০০ বর্গফুটের নীচের ফ্ল্যাট বিক্রির সংখ্যা ২,০৬১টি। বাদবাকি ফ্ল্যাট এক হাজার বর্গফুটের উপর।
আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের সভাপতি সুশীল মোহতার কথায়, মেট্রোর রুট যেভাবে বাড়ছে, তাতে কলকাতার আবাসন বাজার চাঙ্গা হচ্ছে। মধ্যবিত্তরাও তাদের হাতে থাকা বাড়তি টাকা আবাসন কিনতে খরচ করছে।
রিপোর্ট বলছে, বাজার বৃদ্ধির নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলি। সেখানে ৪৩ শতাংশ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে গতমাসে। তারপরই আছে দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলি। এই এলাকা ৩৩ শতাংশ বাজার দখলে রেখেছে।