যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার নারায়ণগড় বিধানসভার খালিনাতে প্রচারে এসে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন অগ্নিমিত্রা। এদিন হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করার সময়ে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আগে আমার সঙ্গে কথা বলতে হবে তারপরে আপনার গায়ে হাত পড়বে। দেখছি কী হয়, আগুন জ্বালিয়ে রেখে দেব। আমার কার্যকর্তাদের গায়ে হাত দিলে স্তব্ধ করে রেখে দেব নারায়ণগড়।’ প্রসঙ্গত বুধবার বিকেলে নারায়ণড়ের খালিনা বাজারে এক বিজেপি কর্মীর বাবা গঙ্গানারায়ণ দেকে মারধর করা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের এসসি সেলের সভাপতি সুশান্ত ধলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি খালিনা বাজারে চা খেতে এলে তাঁকে আটকে অন্নপূর্ণা যোজনার টাকা চাওয়া হয়। পরে হেনস্তা, মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল ওই খালিনা এলাকায় প্রচারে এলে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সুশান্ত ধল কোন হরিদাস পাল, তার নেত্রীকে তিহার জেলে পাঠাব। আমি এখান থেকে সাংসদ হচ্ছি তারপর এদের কী ব্যবস্থা করব দেখতে পাবেন।’ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় অগ্নিমিত্রাকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকারকেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন, সতর্ক হয়ে যান। আমাদের কার্যকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে নারায়ণগড় কেন মেদিনীপুরকেও স্তব্ধ করে দেব।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন তৃণমূল নেতা সুশান্ত ধল বলেন, নারায়ণগড় বিধানসভা এলাকায় যেখানেই যাচ্ছেন লোক পাচ্ছেন না অগ্নিমিত্রা আর তাই প্রচারে থাকার জন্য এই ধরনের উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। এগুলি হতাশার বহিঃপ্রকাশ। বিরোধী দলনেতা যেভাবে সন্দেশখালির চক্রান্ত করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়ে উল্টোপাল্টা বকছেন, তিনিও একই রকম ভাবে উল্টোপাল্টা বকে চলেছেন। মানুষ এর সঠিক জবাব দেবে।