সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: বিজেপি করার অপরাধে ইলামবাজারের মুর্গাবনি গ্রামে ৩০টি পরিবারকে পানীয় জল নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়ে বৃহস্পতিবার গ্রামে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন বোলপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে এমন কোনও অভিযোগ তাদের কাছে হয়নি বলেই জানানো হয়েছে।
গত ১৩ মে সোমবার বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন ছিল। অভিযোগ সেদিন বিকেল থেকেই ইলামবাজারের মুর্গাবনি গ্রামে আদিবাসী অধ্যুষিত ৩০টি পরিবারকে পানীয় জল ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে যে সমস্ত সাবমার্সিবল রয়েছে, সেগুলি থেকে জল নিতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি পুকুরের জল ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ রবি মুর্মুর নির্দেশেই তাঁর অনুগামীরা এমনটা করছেন। ৪ জুন ভোটের  ফল প্রকাশের পর উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে, এমন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা মাইনো বাগদি, রাধিকা মুর্মু বলেন, আমরা যে কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের উপর কেন এমন অত্যাচার করা হবে?
এদিন ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। তিনি নির্যাতিত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পিয়া বলেন, ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর নানাভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। রবি মুর্মু বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমরা কোথাও এমন ধরনের কোনও কাজ করিনি, যার ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়। সরল আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেদের ভুল বুঝিয়ে এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পানীয় জলের কল বন্ধ করে দেওয়া বা জল না দেওয়ার কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে জমা হয়নি।