যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত বৃহৎ আকারের বাগান তৈরির উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে চাষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, স্কুল সব জায়গাতেই চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত বাগান উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দশ কাঠা জমি থাকলে তাকে সেই চারা গাছ দেওয়া হবে। মূলত ১৬ রকমের বিভিন্ন অর্থকরী ফলের গাছের চারা বিলি করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে আম, পেয়ারা, পেঁপে, আপেল কুল, পাতিলেবু, মুসম্বি, ড্রাগন ফ্রুট, নারকেল, সজনে ইত্যাদি। প্রায় চার লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৮০টি চারা গাছ বিলির উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে।
বিলি করা চারগাছের ফল বাজারজাত হলে এইসব অর্থকরী ফলের দামও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাগান উদ্যোক্তা থেকে চাষি সকলেই বর্ষার মরশুমে এইসব ফলের চাষ করলে ভালো লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে মনে করছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। জুন মাসের শুরু থেকেই চারা গাছ বিলির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে এইসব ফল চাষের জন্য জেলায় ভালো উদ্যোক্তার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। কারণ অনেকেই ধান, গম, ভুট্টা, সর্ষের চাষ করতে চাইলেও জলের অভাবের দিকে তাকিয়ে অনেকেই এই ফলের গাছ চাষের উদ্যোগ নিতে অনিহা দেখান। চাষিদের দাবি, বর্ষার মরশুমে এইসব ফলের গাছ ভালো ভাবেই বৃদ্ধি পায় এবং ভালো ফলনও দেয়। কিন্তু গ্রীষ্মের মরশুমে জলের অভাবে এই ফলের গাছ বেশকিছু মারা যায়। তাই সঠিক উৎসাহী উদ্যোক্তার খোঁজ করছে জেলা উদ্যান পালন দপ্তর। উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর আগে জেলার ভবানীপুর পঞ্চায়েতের ভবানীপুর ইকো পার্কে এই ধরনের প্রচুর অর্থকরী ফলের গাছের চাষ করা হয়েছিল। ১০০ দিনের প্রকল্প সরকারি ভাবে এই পার্ককে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু পরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকের অভাবে এই পার্কের অনেক গাছ নষ্ট হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। তাই বেসরকারি উদ্যোগীদের এই ফলের বাগান তৈরি করতে আহ্বান জানাচ্ছে উদ্যান পালন দপ্তর।
জেলা উদ্যান পালন উপ অধিকর্তা সুফল মণ্ডল বলেন, আমরা এবার বর্ষার মরশুমে প্রায় পাঁচ লক্ষ ফলের চারা বিলির উদ্যোগ নিয়েছি। এর জন্য উৎসাহী উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। যাঁদের একযোগে দশ কাঠা বা তার বেশি জমি রয়েছে তাঁদের এই চারা গাছ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সরকারি ভাবে ঘোষিত প্রয়োজনীয় সব রকমের সাহায্যও করা হবে।