যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
জেলা পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তার কুলি গ্রাম থেকে ফুটিসাঁকো পর্যন্ত প্রায় ২৮.৫৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এরজন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ১০১ কোটি ৬১ লক্ষ ২ হাজার ৫৮৮ টাকা। গত ১৬ মার্চ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। রাস্তার কাজ শেষ করার সময় রয়েছে ৬৪০ দিন।
যদিও মাস তিনেক হল রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপরের পিচ পাথর তুলে দেওয়ার পর প্রথম পর্যায়ের পাথর, বালি মাটি ফেলা হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় পিচ ও পাথরও পড়েছে। কিন্তু যে সকল এলাকায় পিচ, পাথর এখনও ফেলা হয়নি, সেই এলাকা ধুলোয় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। রাস্তায় অনবরত গাড়ি যাতায়াতের কারণেই ধুলো উড়ছে।স্থানীয় কয়থা গ্রামের বাসিন্দা আনারুল শেখ বলেন, ধুলোর কারণে রাস্তায় বেরনোই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দিনরাত রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। আর গোটা এলাকা ধুলোয় ঢাকা পড়ছে। মাসখানেক ধরে এই অবস্থা চলছে। মজলিসপুর গ্রামের যতন মাঝি বলেন, রাস্তার পাশেই আমাদের বাড়ি। এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে খাবার খোলা রাখা যায় না। রাস্তার ধুলো খাবারের থালাতেও পড়ছে। এদিকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বাসিন্দারা ওই রাস্তায় চলার সময় নাকে মুখে কাপড় ঢাকা নিচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দা মান্নেহার বিবি বলেন, গরমের জন্য কাপড় ঢাকা নয়, ধুলো থেকে বাঁচতেই কাপড় ঢাকা নিতে হয়েছে। ধুলোর কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এদিকে ধুলোর প্রকোপ থেকে বাঁচতে বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছে রাস্তায় দু’বেলা জল দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। যাতে করে রাস্তায় ধুলো না ওড়ে। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এবিষয়ে জেলা পূর্তদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ধুলো ওড়া বন্ধ করার জন্য ঠিকাদার রাস্তায় জল দেন। তবে সকাল-বিকেল জল দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। যাতে বাসিন্দারা ধুলোর প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারেন।