যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা থেকে বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে ৫৪ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, মোট ভোটার ছিল ২লক্ষ ৩৮ হাজার ২২০জন। যার মধ্যে ভোটদানের হার ছিল ৮৫.০১শতাংশ। এবার এই বিধানসভায় ভোটার বেড়ে হয় ২লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৭৭। কিন্তু ভোটদানের হার ৮২.৩ শতাংশ। প্রায় ৪৩ হাজার ভোট পড়েনি এই বিধানসভায়। যা গত লোকসভার নিরিখে এবার প্রায় ৮হাজারের বেশি ভোটের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায় গতবার প্রায় সাত হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায় ভোটার ছিলেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ২৯৪জন। ভোটদানের হার ছিল ৮৫.৪৯ শতাংশ। এবার এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে হয় ২ লক্ষ ৩২ হাজার ৬০ জন। এবার ভোটদানের হার কমে ৮২.৯ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ এখানে প্রায় ৩ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। এখানকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, উনিশের বিজেপির হাওয়া এবার আর নেই। গতবার বিজেপি যে লিড পেয়েছিল এবার তা থাকবে না। আমার কেন্দ্র থেকে এবার দশ হাজার লিড পাবে তৃণমূল। এমনকী উত্তর বিধানসভাতেও তৃণমূল ভালো ফল করবে।
তেহট্ট বিধানসভায় গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি ২ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিল। মাত্র এক শতাংশ ভোটে তেহট্টে লিড নিয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে এই বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৯৬ জন। সেবার ভোটদানের হাট ছিল ৮৩.৭১ শতাংশ। এবার এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে হয় ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৪১৫ জন। যার মধ্যে ভোট পড়েছে ৮২.৫ শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গতবার এই বিধানসভায় বিজেপি লিড ও ভোটদানের হারের পার্থক্য প্রায় সমান।
কৃষ্ণনগর সংগঠনিক জেলার বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, তেহট্ট, কৃষ্ণনগর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা থেকে আমরা এবার রেকর্ড লিড দেব। মূলত এই তিনটি বিধানসভাই আমাদের জয় সুনিশ্চিত করবে। তৃণমূলের অপশাসনকে দূর করতে মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন।