জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
কালিম্পংয়ের ধসপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে লিকুভির অন্যতম। বুধবার সকালে সেখানে ফের ধস নামে। পাহাড়ের নুড়ি, বোল্ডার, মাটি, গাছ নেমে আসে রাস্তায়। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং হয়ে সিকিম যেতে হয় ঘুরপথে। এদিন ফের সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়ক সংলগ্ন কালিম্পং-১ ব্লকের লাভারবোটে গ্রামে তিস্তা নদী থাবা বসায়। ইতিমধ্যেই রাস্তার একাংশ গ্রাস করেছে নদী। বৃষ্টির জেরে কালিম্পং-১ ব্লকের পাবরিংস্তর গ্রামের রাস্তাতেও নামে ধস। পাহাড়ে মাটি ও পাথার নামায় সেই রাস্তাও কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল এদিন।
কালিম্পং জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, লাভারবোটে গ্রাম থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া পরিবারগুলিকে ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল, চিড়ে বিলি করা হয়েছে। এদিন সকালে কিছুক্ষণের জন্য জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকলেও পড়ে খুলে দেওয়া হয়। লিকুভির, মল্লি এলাকায় জাতীয় সড়ক দিয়ে একমুখী যান চলাচল করছে। ধস ও নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত রাস্তাটি নিয়ে নিয়মিত প্রচার চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য বিকল্প রাস্তাও চালু রয়েছে। অন্যদিকে, পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে ফের ফুঁসছে তিস্তা। এদিন করোনেশন সেতুর কাছে তিস্তা নদীর জলস্তরের উচ্চতা বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই ছিল। কিছু জায়গায় জলস্তরের উচ্চতা প্রায় জাতীয় সড়কের সমান হয়ে যায়। ফের প্লাবিত তিস্তা বাজার। রাস্তা ও বাড়িতে উঠেছে নদীর জল। ফলে দার্জিলিং থেকে তিস্তাবাজার হয়ে কালিম্পং যাওয়ার রাজ্য সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়। এই অবস্থায় তিস্তা নদী বাঁচানোর দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয়দের একাংশ। ওই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বিনয় তামাং।
এদিকে, আবার ধসে বিধ্বস্ত দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং। এদিন সকালে কার্শিয়াং শহরের কাটপোরি, শেরপাবস্তি, ক্যাম্পসাইড ও পাঙ্খাবাড়ি রোডে ধস নামে। কোথাও বাড়ির সীমানার গার্ডওয়াল ধস গিয়ে ফাটল ধরেছে ঘরে। আবার কোথাও তলার মাটি ধসে গিয়ে ঘর শূন্যে ঝুলছে। ফাটল ধরে রাস্তাও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
জিটিএ’র মুখপাত্র সুভাষ প্রধান বলেন, বৃষ্টির জেরে কার্শিয়াং শহরের চারটি জায়গায় ধসে পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিষয়ে মহকুমা শাসক এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় কমিউনিটি হলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের।