আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সোমবার নবান্নে এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী আত্রেয়ীর জল নিয়ে সরব হন। তিনি সেখানে বলেন, বালুরঘাটের বাসিন্দারা বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। দিতেই পারেন। এটা তাদের অধিকার। কিন্তু তাঁরা তো জানেন আত্রেয়ী নদী দিয়ে জল আসত, যেটা তাঁরা পেতেন। আত্রেয়ীতে বাংলাদেশ চীনকে দিয়ে ড্যাম তৈরি করেছে। ফলে জল আসছে না। আমি বারবার চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ করেছি। আমাদের জল, কিন্তু বাংলাদেশ বন্ধ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার কিছু করেনি। পুর্নভবা নদীর জন্যও কিছু করেনি।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, বাংলাদেশ একেবারে সীমান্তে রবার ড্যাম দিয়েছে। তাই আইনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি প্রথম যখন সাংসদ হই তখন ওই ড্যাম নিয়ে সরব হয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার পাল্টা আত্রেয়ীতে শহরের মধ্যে কংক্রিটের ড্যাম তৈরি করল। ফলে শহরের এক প্রান্তে জল পাচ্ছে, অপরপ্রান্ত জল পাচ্ছে না। বালুরঘাটের মানুষ জল পাচ্ছে না কেন? এজন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বালুরঘাট পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, পুরনো ফাইল খুলে দেখুন, বাংলাদেশের তরফে আত্রেয়ীতে ড্রেজিং করার জন্য ভারত সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারত সরকার রাজ্যকে সেই অনুরোধ জানালেও এতদিনেও কোন কিছু করেনি রাজ্য সরকার?
বালুরঘাটের পরিবেশপ্রেমী বিশ্বজিৎ বসাক বলেন, আমাদের নদীগুলি বঞ্চিত। বাংলাদেশ সরকার বাঁধ দিয়ে জল আটকে দিচ্ছে। শুধু আত্রেয়ী নয়, জেলার সমস্ত নদী বাংলাদেশের কারণে ভুগছে। তাই অবিলম্বে আত্রেয়ী সহ সব নদী নিয়ে আমরা চুক্তি চাইছি। বালুরঘাটের আর এক পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, টাঙন জল চুক্তি সহ দক্ষিণ দিনাজপুরের সমস্ত আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিয়েছি। আমরা এনিয়ে আশাবাদী।
আত্রেয়ী বাংলাদেশ থেকে বালুরঘাটে এসেছে। এই নদীতে বাংলাদেশে একটি রবার ড্যাম তৈরি করেছে। ফলে ওই নদী দিয়ে বর্ষার সময় ছাড়া অন্য সময় জল আসে না। যদিও জল ধরে রাখতে বালুরঘাট শহরে আত্রেয়ী নদী বরাবর স্বল্প উচ্চতার বাঁধ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবুও জল নিয়ে সমস্যার শেষ নেই।