আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ইসলামপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল সাহিদ বলেন, কোথায় কোথায় কোন দপ্তরের জমি রয়েছে, তার রিপোর্ট তৈরি করে পদক্ষেপ করা হবে।
শহরের মধ্যভাগ দিয়ে পিডব্লুডির রাজ্য সড়ক। আগে ওই সড়কটিই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ছিল। ওই সড়কের দু’পাশে বহু দোকানপাট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে।
টার্মিনাস সংলগ্ন ভিআইপি রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের ইসলামপুর শহর সদর কার্যালয়। ওই কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বসেন। অফিসটি সরকারি জায়গা (পিডব্লুডি) দখল করে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইসলামপুরের তৃণমূলের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী টার্মিনাস সংলগ্ন তপন স্মৃতি ভবন তথা গৌতম গুপ্ত স্মৃতি লাইব্রেরি করেছেন। সেটিও সরকারি জায়গায় বলে অভিযোগ। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় করিম চৌধুরীর কার্যালয় (এমএলএ অফিস) আছে। সেটিও সরকারি জায়গা বলে অভিযোগ। কেএমসি মোড়ে নিকাশিনালার উপর ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। শিবডাঙ্গি মোড়, মিলনপল্লি ও তিস্তা মোড় এলাকায় সরকারি জমিতে বিজেপির পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। শিবডাঙ্গি মোড় ও চৌরঙ্গিমোড় এলাকায় সরকারি জমি দখল করে সিপিএমের দুটি পার্টি অফিস আছে। টার্মিনাসের উল্টো পাশে সরকারি জমিতে ডিওয়াইএফের কার্যালয়।
পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, পার্টি অফিসগুলি স্টেট হাইওয়ের পাশে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার সঙ্গে এই জায়গার কোনও সম্পর্ক নেই।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাসের যুক্তি, মানুষের স্বার্থেই পার্টি অফিস করা হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে আমরা জায়গা ছাড়তে রাজি আছি। আমাদের জমি কেনা আছে, পার্টি অফিস স্থানান্তরিত করে নেব।
ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য গৌতম বর্মনের মন্তব্য, গোটা রাজ্যে তৃণমূল সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। প্রশাসন সেগুলি দখলমুক্ত করুক, আমাদের অফিস সরিয়ে নেব।
বিজেপি নেতা সুরজিৎ সেন বলেন, প্রশাসন সমস্ত রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস সরিয়ে দিলে সকলের সহযোগিতা করা উচিত। তবে কোনও একটি দলকে টার্গেট করা হলে প্রশ্ন উঠবেই।