আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহর ও সংলগ্ন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বহুদিনের। বিভিন্ন সময় তা বন্ধে কড়া দাওয়াই দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবু মাফিয়াদের কাজে লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। এদিন নবান্নের সভাগৃহে এনিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। মেয়রের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি মাফিয়াদের গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সরকারি জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। পুলিস ও ভূমিদপ্তরের একাংশ এতে জড়িত। অতীতে বহুবার এসব সতর্ক করেছি, তার উপর কিছু হয়নি। এবার সব ক্লিন করা হবে। কাওয়াখালি, ডাবগ্রাম, সেভকে জমি দখল হচ্ছে। পুলিসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। একজনকেও ছাড়ব না। গৌতম তুমিও দায়িত্ব এড়াতে পারো না। যারা জমি দখল করছে, তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।
পানীয় জল পরিষেবা প্রদানেও শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার পুরসভা পিছিয়ে রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সঙ্কট অনেক দিনের। কয়েকদিন আগেই মহানন্দা নদীর ‘দূষিত’ জল শহরবাসীকে খাইয়ে বিতর্কে জড়ায় পুরসভা। সভা শেষে মেয়র বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে পরিষেবায় আরও জোর দেব। নাগরিকদের সঙ্গে নিয়েই উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। পুরসভার এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতাতেই পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। মেগা জল প্রকল্প তৈরির কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে কর আদায় নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে কোচবিহারে গিয়ে কর আদায় নিয়ে পুর চেয়ারম্যানকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি বর্ধিত কর লাগু হবে না বলেও ঘোষণা করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে রবি ঘোষ ট্যাক্স বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। ট্যাক্স বাড়ানোর তুমি কে ভাই? এ ধরনের ঘটনা যেন আর না হয়। রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া কোথাও কর বাড়ানো যাবে না।’
বৈঠকের পর কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, ২০১০ সালের পর শহরে সম্পত্তিকর নির্ধারণ হয়নি। রাজ্য মূল্যায়ন পর্ষদ সম্পত্তিকর নির্ধারণ করলেও বিগত বোর্ড তা কার্যকর করেনি। ফের ওই বোর্ড সমীক্ষা করে সম্পত্তিকর নির্ধারণ করে। মূলত সোনার দোকান, হোটেল, নার্সিংহোমের মতো বাণিজ্যিক হোল্ডিংয়ের কর নির্ধারণ করা হয়। ভ্যালুয়েশন বোর্ডের পরামর্শ মতোই ২৪ হাজার হোল্ডিংয়ের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ২০ হাজার হোল্ডিংয়ের মালিক আপত্তি না করলেও বাকিরা আপত্তি করেন। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করেই সরকারের কাছে সেই তথ্য পাঠানো হয়েছে। কাজেই সম্পত্তিকর নির্ধারণ পুরসভা করেনি।
তবে মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা মেনেই চলব। এসজেডিএ’র ভূমিকা নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকদিন আগেই এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান পদ থেকে সৌরভ চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসজেডিএ রেখে লাভ কী? অর্থ বরাদ্দ করলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এসজেডিএ ভেঙে দেওয়া হবে।’