জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়িতে ৪০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকারের তরফে মাল্টিলেয়ার চিকফার্ম তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই কারখানা তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। ফার্মে দৈনিক তিন লক্ষ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ডিম পাড়ার জন্য এখানে তিন লক্ষ মুরগি থাকবে। ইতিমধ্যেই দু’লক্ষ মুরগি নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, নানা কারণে কয়েক হাজার মুরগি মারা গিয়েছে। কিন্তু সেই মৃত মুরগিগুলিকে অবৈজ্ঞানিকভাব যত্রতত্র পুঁতে রাখা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের এলাকায়। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্গন্ধের জেরে এলাকায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। ফলে শুক্রবার বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে অবরোধে শামিল হন। মেখলিগঞ্জ-চ্যাংরাবান্ধা সড়ক ভোটবাড়ি এলাকায় অবরোধ করেন তাঁরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা পৌঁছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধি কুন্তল সাহা বলেন, মৃত মুরগি যাথাযথভাবে পুঁতে রাখা হয়। তারপরও দুর্গন্ধ ছড়ানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরে এই কারখানার উদ্বোধন করে ডিম উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা জানিয়েছেন, প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে গোটা কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই পুরোদমে ডিম উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। জীবিকা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের মাধ্যমে ভোটবাড়ির কৃষিফার্ম এলাকায় এই কাজটি বর্তমানে চলছে। কোচবিহারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিক মনোজকুমার গোলদার বলেন, ফার্ম আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। মুরগি মৃত্যুর কোনও খবর নেই। দুর্গন্ধ নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে। মুরগির মলের কারণে এলাকায় দূষণের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিস্তার চরে সেটা সরানোর কাজ চলছিল। জলস্তর বৃদ্ধি হওয়ায় সেই কাজ আটকে যায়। কোথায় ফেলা যায় সেই ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।