যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
বৃহস্পতিবারও বাড়ির জরুরি কাজ ফেলে পানীয় জল সংগ্রহের জন্য লম্বা লাইন দিতে দেখা গিয়েছে ইংলিশবাজার ব্লকের কোতোয়ালি অঞ্চলের গনিপুর অঞ্চলের বাসিন্দাদের। পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে সকাল থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হাঁড়ি, কলসি, বালতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এলাকার বাসিন্দা পার্থ দাস, রিঙ্কি দাস সহ অনেকেরই বক্তব্য, এই সমস্যা এবছর নতুন করে তৈরি হয়নি। প্রতিবছর গরমে পানীয় জলের জন্য তাঁদের চরম নাকাল হতে হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক আশ্বাস মিললেও আসলে কাজের কাজ কিছু হয় না।
ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত ইংলিশবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জয়কুমার দাসও স্বীকার করে নিয়েছেন, গরমের দাপট তীব্র হতেই প্রতি বছর পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়। এলাকাবাসী প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হন। যদিও তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল জীবন মিশনের মাধ্যমে প্রত্যেকের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তা দ্রুত কার্যকরী হলে সমস্যা লাঘব হবে।
কয়েক দিন আগেই ইংলিশবাজার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান বোর্ড। যদিও মাটি খোঁড়ার সময় ধস নামার কারণে ওই মুহূর্তে পাম্প বসানো সম্ভব হয়নি। তবে পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে যে কম-বেশি পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলার থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, পুরসভা এলাকায় যে পানীয় জলের মারাত্মক সমস্যা রয়েছে তা নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। সমাধানের জন্য পুরসভাও তৎপর। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আম্রুত- ২ প্রকল্পে পুরসভা আরও ১৫৩ কোটি টাকা পেতে চলেছে। সেই অর্থ মিললে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে জল জীবন মিশন লাগু করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সবমিলিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পানীয় জল সমস্যার স্থায়ী সমাধান মিলবে বলে আশা তাঁর।
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ইংলিশবাজার সহ জেলার যেখানেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে, সেখানেই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। ১৩২টি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছে। একএকটি ট্যাঙ্ক দিনে ২ থেকে তিনবার করে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে গিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা, যেখানেই এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে, সেখানেই দ্রুততার সঙ্গে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করেছে বলে এদিন জানিয়েছেন জেলাশাসক।