যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ডিসিপি) দীপক সরকার বলেন, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জটিয়াকালী গ্রাম এনজেপি থানার অধীনে। শিলিগুড়ি শহর থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার দূরত্ব ১০ কিমি। ফুলবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের জটিয়াকালী মোড়ে ওই জেরক্সের দোকানের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন আগে আধারকার্ড জাল করার অভিযোগ পায় শিলিগুড়ি পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। একই সঙ্গে তারা টেলিকম সহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আন্তর্জাতিক ফোন কল নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ পায়। টানা ১৫ দিন ধরে নজরদারি চালানোর পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দোকানে হানা দেয় এসওজি। তারা বেশ কিছুক্ষণ ধরে তল্লাশি চালিয়ে দোকান থেকে তিনটি সিম-বক্স, ৫৫০টি সিম কার্ড, রাউটার, কম্পিউটার, মোডেম সহ বেশকিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা জানিয়েছে, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিম-বক্স প্রযুক্তি ব্যহার করে সেখান থেকে আন্তর্জাতিক ফোন কল করা হচ্ছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও চীনে কল করা হতো। আবার বিদেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক কল মোবাইল ফোনে লোকাল কল হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। অর্থাৎ সিম-বক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ চালু করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দোকানে। প্রায় ছ’মাস ধরে ধৃত এই কারবার চালাচ্ছিল।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় এধরনের এক্সচেঞ্জের হদিশ পুলিসের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে সেনাবাহিনী ও বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগ খোঁজ খবর করছে। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোও এব্যাপারে খোঁজ নিয়েছে। পুলিস ও গোয়েন্দাদের বক্তব্য, শুধু রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভুয়ো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সেখান থেকে ফোন কল করা হতো, তা নয়। এর নেপথ্যে জেহাদি জঙ্গি সংগঠন, মাদক, সোনা ও গোরুপাচার সিন্ডিকেট রয়েছে বলেই সন্দেহ। এজন্যই এখান থেকে বিদেশে করা কল এবং বিদেশ থেকে আসা কলগুলির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত ব্যবসায়ী জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সন্ন্যাসীকাটা পঞ্চায়েতের কোয়াবাড়ি এলাকায় ধৃতের বাড়ি। শুধু ভুয়ো এক্সচেঞ্জ নয়, ধৃতের দোকানে ভারতীয় নাগরিকত্বের বিভিন্ন প্রমাণপত্রও জাল করা হতো বলে অভিযোগ। অবৈধভাবে এপারে আসা বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্বের জাল নথি ধৃত সরবরাহ করত বলে সন্দেহ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের দোকান থেকে জাল আধারকার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সে, প্যান কার্ড, মোবাইল ফোন প্রভৃতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিসের সন্দেহ, অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের পারাপার করানোর এজেন্ট বা ধূরপার্টির সঙ্গেও ধৃতের যোগ রয়েছে।