যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে মোট ১৫৫ কিমি সীমান্তরেখা রয়েছে। তারমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৩৭ কিমি উন্মুক্ত সীমান্ত ছিল। বছর দুয়েক আগে তারমধ্যে ছ’কিমি ফাঁকা জায়গায় বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়। বাকি ৩১ কিমি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি এখনও বেশিদূর এগোয়নি বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এদিকে, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের চেকপোস্ট করার জন্য প্রায় দেড় একর জমির প্রয়োজন। তা অধিগ্রহণের ব্যাপারেও জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়।
উল্লেখ্য, আগে বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বেশি হত। বর্তমানে সেই প্রবণতা অনেকটাই কমেছে বলে প্রশাসনের দাবি। তবে বেশ কয়েকমাস আগে এক চীনা নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। তাঁকে মালদহ জেলা পুলিস গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়েও পুলিস চিন্তিত। ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশিকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তাদের জেরা করেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়টি পুলিস জানতে পারে। তারা প্রত্যেকেই উন্মুক্ত সীমান্ত হয়ে এদেশে প্রবেশ করেছিল বলে পুলিসি জেরায় স্বীকার করে। সেই তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছেও পৌঁছয়। ফলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তাদের অজানা নয় বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। তারপরেও উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র কেনও গড়িমসি করছে তা জেলাবাসী বুঝতে পারছে না।
উত্তর মালদহের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমির প্রয়োজন। তা স্থানীয় প্রশাসনকেই অধিগ্রহণ করতে হবে। রাজ্য সরকার বেশিরভাগ সময় এব্যাপারে টালবাহানা করেছে। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের যৌথ বৈঠক হয়েছে। তারপরেও সমস্যা রয়ে গিয়েছে। তবে সম্প্রতি জমিজট কিছুটা মিটেছে বলে শুনেছি। প্রয়োজনে আমি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
মালদহ জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, জেলায় প্রায় ৩০ কিমি উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। তারমধ্যে জলসীমা আছে। সেখানে বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়। বাকি এলাকায় জমিজট কাটিয়ে কীভাবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা যায়, তা দেখা হবে। এব্যাপারে আমাদের সদিচ্ছার কোনও অভাব নেই।