নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
শিলিগুড়িতে বাম-কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে আলোচনা চললেও জোটের প্রকাশ্য কর্মসূচি সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট ঘোষণা হাওয়ার পরও তাদেরকে যৌথভাবে প্রকাশ্য কোনও কর্মসূচি করতে দেখা যায়নি। এতদিন পর্যন্ত উভয়পক্ষই আলাদা আলাদাভাবে ঘর গোছাচ্ছিল। এদিনই তারা যৌথভাবে প্রকাশ্য কর্মসূচির সূচনা করেছে। এদিন মেডিক্যাল মোড়ে জোটের নেতা-কর্মীরা জমায়েত করেন। সেখান থেকে তাঁরা মিছিল করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ১৫ দফা দাবিতে সুপারের কাছে ডেপুটেশন দেন। এই কর্মসূচিতে সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক, মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তাপস সরকার, স্থানীয় বিধায়ক তথা কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সিপিএমের তাপসবাবু বলেন, সিটিস্ক্যান মেশিন, পূর্ণাঙ্গ ট্রমা কেয়ার সেন্টার, কার্ডিওলজি বিভাগ প্রভৃতি চালু করা সহ ১৫ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এই কর্মসূচি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এদিন বিকেলে ঘোষপুকুরে স্থানীয় হাইস্কুলের মাঠে নির্বাচনী সভা করে জোট। সভায় সিপিএমের জেলা নেতা ঝরেন রায় ও স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের সুনীল তিরকি সহ অন্যান্য নেতরা উপস্থিত ছিলেন। আজ, বৃহস্পতিবার খড়িবাড়িতে জোটের সভা হবে। জোটের নেতারা বলেন, বুথ, বিধানসভা ভিত্তিক এবং জেলা স্তরে যৌথ নির্বাচনী কমিটি গঠন এবং নির্বাচনী কার্যালয় চালুর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এখনও কয়েকটি জায়গায় যৌথ নির্বাচনী কমিটি গঠন বাকি আছে। তা হলেও ব্রিগেডের সভা থেকেই প্রমাণ হয়েছে এবার মানুষ জোটের সঙ্গে আছে। তাই ওই সভার পর বাড়তি অক্সিজেন নিয়েই ময়দানে নামা হয়েছে। এবার থেকে একনাগারে যৌথকর্মসূচি চলবে। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি মহকুমার অধীনে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি হল— শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়া। বর্তমানে শিলিগুড়ি কেন্দ্র সিপিএমের এবং বাকি দু’টি কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। নির্বাচনী লড়াইয়ের সুবিধার্থে জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি নিজেদের তত্ত্বাধবানে রেখেছেন জোটের স্থানীয় নেতারা। জোট সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট চারটি কেন্দ্রের মধ্যে শিলিগুড়ি ও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে সিপিএম এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলে ঠিক হয়েছে। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, সংশ্লিষ্ট চারটি কেন্দ্রকে পাখির চোখ করে ভোটের ময়দানে নেমেছি। এবার থেকে যৌথ মিটিং, মিছিল, পথসভা, পাড়া বৈঠক, দেওয়াল লিখন সহ প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে।