নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
আলিপুরদুয়ারে এখনও পর্যন্ত দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ওই দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কুমারগ্রাম ও ফালাকাটায় পাঠানো হয়। জেলা পুলিস জানিয়েছে, কুমারগ্রামে রাখা এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বারুইপুরে পাঠানো হয়েছে। আপাতত ফালাকাটায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কুমারগ্রামে গিয়েও রুটমার্চ করছেন। আজ, বৃহস্পতিবারও কুমারগ্রামের আন্তঃরাজ্য সীমান্তের গ্রামগুলিতে বাহিনী রুটমার্চ করবে।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার অম্লান ঘোষ বলেন, কুমারগ্রামের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বারুইপুরে পাঠানো হয়েছে। কুমারগ্রাম থেকে বারুইপুরে ওই বাহিনীকে কেন পাঠানো হয়েছে তা বলতে পারব না। ওই বহিনীকেই নিয়ে আসা হবে, না অন্য কোনও বাহিনীকে কুমারগ্রামে আসবে সেটা ওপর মহল থেকে জানানো হয়নি। জেলাজুড়েই নজরদারি চলছে। জেলায় প্রবেশের বিভিন্ন চেকিং পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রের খবর, ভুটান সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এখানে সীমান্ত মুক্ত। যদিও করোনার কারণে ভুটানে প্রবেশের নথিভুক্ত গেটগুলি এখনও সিল রয়েছে। ফলে আলিপুরদুয়ার জেলা দিয়ে ভুটানে প্রবেশের মুখে জয়গাঁর ভুটান গেটও বন্ধ আছে। অন্য রাজ্য এবং জেলা থেকে সড়ক পথে আলিপুরদুয়ারে ঢোকা যাচ্ছে। তাই জেলা পুলিস ভোটের আগে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বলেই নতুন করে সেখানে নাকাচেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে।
কুমারগ্রামের সংকোশ নদীকে অসম-বাংলা সীমান্ত হিসেবে ধরা হয়। বেআইনি অস্ত্র ঢোকা রুখতে অসম সীমান্তে কুমারগ্রামের পাকড়িগুড়ির নাকা চেকিং পয়েন্ট থেকেও তল্লাশি চলছে পুলিসের। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের ভাটিবাড়িতে তুফানগঞ্জ রোডে এবং ফালাকাটার এথেলবাড়িতে ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে থাকা নাকা চেকিং পয়েন্ট থেকেও পুলিস তল্লাশি চালাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চের পাশাপাশি পুলিস অসম সীমান্তে কুমারগ্রামের কেএলও অধ্যুষিত বালাপাড়া, বিত্তিবাড়ি, উত্তর হলদিবাড়ি, দক্ষিণ হলদিবাড়ি ও সংকোশ বস্তির মতো গ্রামগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে। যাতে অসম থেকে ভোটের আগে সংকোশ নদী পেরিয়ে জেলায় কোনওভাবেই অস্ত্র ঢুকতে না পারে।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর, ধনীরামপুর, যোগিঝোরা, এথেলবাড়ি, খগেনহাট, আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পাটকাপাড়া ও মথুরার মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে রুটমার্চ করেছে। মাদারিহাট ব্লকের ভুটান সীমান্তে থাকা মাকরাপাড়া, লঙ্কাপাড়া, রামঝোরা, খাসবস্তি, টুকরা খাসবস্তি, গারুচিরা ও সিংহানিয়ার মতো স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিস নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এখনও ওসব গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ না করলেও চলতি সপ্তাহেই ওইসব এলাকায় জওয়ানরা রুটমার্চ করবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।