নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
বিজেপির ইসলামপুর টাউন সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, পুরসভা এলাকায় রাস্তাঘাট বেহাল ও পাড়ায় পাড়ায় পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। উন্নয়ন একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এই বিষয়গুলি আমরা শহরের মানুষের কাছে তুলে ধরব। সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, পুর পরিষেবা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। আমরা শুনেছি কাগজেকলমে পুরসভায় ২০০ জন সাফাইকর্মী আছেন। কিন্তু এলাকার আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। রাস্তায় বালি-পাথর, সিমেন্ট পড়ে থাকছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। জাতীয় সড়কের দুই পাশেই ফুটপাত দখল হচ্ছে। সে বিষয়ে কেউ কোনও পদক্ষেপ করছে না। কানাইয়ালাল আগরওয়াল চারবার পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার পরেও তেমন উন্নয়ন হয়নি।
পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলার মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, ড্রেনগুলো আবর্জনায় ভর্তি। একটি পথবাতি খারাপ হলে ১৫ দিনের আগে ঠিক করা হয় না। বাজার এলাকায় জলের উৎস নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আগুন নেভাতে জলের অভাবে বেগ পেতে হবে দমকলকে। নিকাশি নিয়ে এতদিনেও মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়নি। কানাইয়ালাল আগওয়াল কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন উন্নয়ন করবেন বলে। কিন্তু কোথায় উন্নয়ন? নির্বাচনে এবার আমরা এই বিষয়গুলি ইস্যু করব।
পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। যেহেতু এলাকায় নদী নেই, তাই ড্রেনের আউটলেটের সমস্যা আছে। পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবা আছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্ট্রিট লাইট, অনেকগুলি হাইমাস্ট আলো বসেছে। বাস টার্মিনাসে শেডের নীচে মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। নিউ টাউন রোড়ে মুক্তমঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। ক্ষুদিরামপল্লি এলাকায় অনুষ্ঠান ভবন করা হয়েছে। গ্রিন সিটি প্রকল্পে হাসপাতালের সামনে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তাই উন্নয়ন হয়নি, এই অভিযোগ মানুষই মেনে নেবে না। ভোটে তার প্রমাণ মিলবে।