নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহের ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রেই নির্বাচনী লড়াই মূলত ত্রিমুখী। বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম-কংগ্রেস-আব্বাস জোটের মধ্যে এই লড়াই থাকলেও প্রার্থীপদ নিয়ে চর্চা বেশি হচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূলকে নিয়েই। বেশ কিছু আসনে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বিধায়ক থাকায় তাঁরাই এগিয়ে বলে মনে করছেন অনেকেই।
জেলা সদর ইংলিশবাজার কেন্দ্রের বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে জোর আলোচনা শোনা যাচ্ছে শহরের আনাচেকানাচে। এই আসনে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষ। পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ঘটনাচক্রে দুইজনই এখন তৃণমূলে। তাঁদের পারস্পরিক বিবাদও সর্বজনবিদিত। তাই ইংলিশবাজারের প্রার্থী এই দুইজনের মধ্যে কে হবেন, তা নিয়ে যেমন তীব্র জল্পনা চলছে দলের অন্দরে ও রাজনৈতিক মহলে, তেমনই ভেসে উঠছে একাধিক তৃতীয় নামও।
এই কেন্দ্রেরই বিজেপি প্রার্থী কে হবেন তা নিয়েও তীব্র চর্চা চলছে ইংলিশবাজারের বিভিন্ন এলাকার আড্ডা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় লাখ খানেক ভোটে এগিয়ে ছিলেন দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। ইংলিশবাজার কেন্দ্রে বিজেপি তাঁকেই প্রার্থী করবে, নাকি বেছে নেওয়া হবে দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বা অন্য কাউকে, তা নিয়েও জোর চর্চা চলছে দিনভর।
বৈষ্ণবনগর, মানিকচক, মালদহ, গাজোল, রতুয়া ও মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি ও তৃণমূলের প্রার্থী কারা হবেন, তাও উঠে আসছে চায়ের দোকান থেকে পাড়ার মোড়ের আলোচনায়। বিভিন্ন নেতানেত্রীদের অনুগামীরা নিজস্ব নানা ‘গোপন সূত্রের খবর’ দিয়ে অন্যদের সামনে দাবি করছেন টিকিট পাবেন তাঁদেরই ‘দাদা’ বা ‘দিদি’।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কি একই সঙ্গে হবে, নাকি দফায় দফায়, তা নিয়েও কম চর্চা চলছে না।
তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের বক্তব্য, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় সকলেই অধীর হয়ে পড়েছেন প্রার্থী কে কে হচ্ছেন তা জানতে চেয়ে। অনেকে আমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে ফোন করেও জানার চেষ্টা করছেন। এই কৌতূহল স্বাভাবিক। তবে সকলকেই অপেক্ষা করতে হবে দলনেত্রীর সিদ্ধান্তের জন্য।
বিজেপি’র জেলা সহসভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, প্রার্থী কে কে হবেন তা জানার আগ্রহ থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণা হয়নি বলে আমাদের কর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে নেই। ইতিমধ্যেই তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচারে। লক্ষ্য প্রার্থী নয়, দলকে জেতানো। দলের প্রতীককে জেতানো। নির্দিষ্ট সময়েই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে।
কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, আমাদের দলের প্রার্থী তালিকা বরাবরই অনেক পরে প্রকাশিত হয়। আমরা এতে অভ্যস্ত। তবে বর্তমানে মালদহের অধিকাংশ বিধানসভাই কংগ্রেসের দখলে। বর্তমান বিধায়করা টিকিট পাওয়ার দৌড়ে নিশ্চয়ই অগ্রাধিকার পাবেন।