হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বালুরঘাটের সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি বুনিয়াদপুরে কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় কার্য কর্তাদের কথা মতো হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেখি। রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করেছি। হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের অন্ধকারে থাকতে হয়। জেনারেটরের ব্যবস্থা করার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে বরাদ্দ দিতে জেলাশাসককে চিঠি লিখব। গত মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০ বেডে প্রতিদিন ১২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা এখানে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। রোগীর চাপ থাকলেও ডাক্তারের সংখ্যা খুবই কম। ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য কোনও ফাঁড়ি নেই। কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার সমস্ত বিষয় ও ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। এলাকার মানুষকে ভালোবাসলে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তারের ব্যবস্থা করবেন। বংশীহারির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পুলকেশ সাহা বলেন, আমাদের হাসপাতালে বরাবরই রোগীর চাপ থাকে। আমাদের সাধ্যমতো আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে থাকি। হাসপাতালে লোডশেডিং হলে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এবিষয়ে হাসপাতালের রোগী ও রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সাংসদকে একটি জেনারেটরের কথা বলা হয়েছে। তিনি তা দেবেন বলে জানিয়েছেন। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর কথা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর বিষয়টি দেখছে। আরও বেশকিছু সমস্যা সুকান্তবাবুকে আমরা ডাক্তারের পক্ষ থেকে জানিয়েছি।
জেলার রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সাংসদ খোঁজখবর করেন। এতে নানা সমস্যা উঠে আসে। তিনি সেগুলি ধাপে ধাপে মেটানোর আশ্বাস দেন। এছাড়াও সুকান্তবাবুকে কাছে পেয়ে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা তাদের বিভিন্ন সমস্যায় কথা তুলে ধরেন। হাসপাতালে ডাক্তার কম থাকায় কীভাবে পরিষেবা চলছে তা জানান। সুকান্তবাবু প্রত্যেকটি বিষয় শুনে সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তুলবেন বলে জানান। বংশীহারি ব্লকের মানুষের জন্য এই একটি মাত্র হাসপাতাল রয়েছে। ৩০ বেডের হাসপাতালে বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা সবসময় বেশি থাকে। অত্যাধিক রোগীর চাপ থাকলেও বেডের সংখ্যা এখনও বাড়েনি। রোগীরা এক বেডে তিন থেকে চার জন থাকেন। কোনও কোনও সময় বেডের অভাবে মেঝেতে শুয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে হয়। চার জন ডাক্তার কোনওরকমে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন।