হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, উৎসবের আবহেই রাখীবন্ধন পালন করেছি। কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থক ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে এই উৎসব নিয়ে একটা আবেগ থাকে। সেটাই দেখা গিয়েছে। উৎসবে শামিল হতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। মানুষের ভালো সাড়া পেয়েছি। আমাদের দলের তরফে ব্লকে ব্লকে জনসংযোগ কর্মসূচি একপ্রকার সেরে ফেলা হয়েছে। রাখীর মধ্যে সামান্য সুতো থাকলেও তার বন্ধন কিন্তু দৃঢ় হয়। আমরা চাই, নাগরিকদের সঙ্গে দলের দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠুক।
বিজেপির মালদহ জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, খুব ভালো উৎসব হয়েছে। আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাড়া পেয়েছি। মানুষের সঙ্গে মানুষের যে যোগাযোগ রাখীবন্ধন তাকে আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলাম। বিভিন্ন জায়গায় একে অপরকে রাখী পড়িয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি।
উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু বলেন, রাখী পূর্ণিমা এবং স্বাধীনতা দিবস একই দিনে হওয়ায় গোটা দিনই জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে পার হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রাখী উৎসব শামিল হয়েছি। যেখানেই গিয়েছি, কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসেছেন। দু’হাত রাখীতে ভরে গিয়েছে।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলাজুড়ে রাখী উৎসব পালন করা হয়েছে। আমরা রাখীর মাধ্যমেই সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছি। পথচলতি মানুষকে রাখী পরিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়েছে।
জেলার রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে রাখী পরিয়ে একেঅপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর দলীয় কার্যালয়ে সমস্ত ব্লক স্তরের নেতৃত্বদের সঙ্গে রাখীবন্ধন উৎসব পালন করেন। নিজে সকলকে রাখী পরিয়ে দেন। পাশাপাশি রাখী উৎসবের আরও একাধিক কর্মসূচিতে মৌসম শামিল হন। জেলার প্রতিটি ব্লকে তৃণমূলের উদ্যোগে রাখী উৎসব পালন করা হয়।
এদিকে বিজেপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাখী বন্ধনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। দলীয় কার্যালয়ে জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল এবং সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু দলীয় সমর্থক কর্মীদের রাখী পড়িয়ে দেন। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে রাখী উৎসবে শামিল হন সংসদ সদস্য।
জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব দলীয় কার্যালয় হায়াত ভবন থেকে প্রভাতফেরি বের করে। তারপর তাঁরা রথবাড়িতে গনি খানের মূর্তির পাদদেশে রাখী উৎসবে শামিল হন। সেসময় একেঅপরের হাতে রাখী পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ শহরবাসীকেও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন তাঁরা।