নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
কে এই স্বাতী মোহন? জানা গিয়েছে, নাসার এই বিজ্ঞানীর জন্ম ভারতেই। তবে মাত্র এক বছর বয়সেই আমেরিকায় চলে যান তিনি। নর্দান ভার্জিনিয়া এবং ওয়াশিংটমন ডিসিতেই বেড়ে ওঠেন। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ও এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি পাশ করেন স্বাতী। এর পর এরোনটিক্স ও অ্যাস্ট্রোনটিক্সে এমএস এবং পিএইচডি করেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি বা এমআইটি থেকে।
মহাকাশের প্রতি আগ্রহ? স্বাতী জানিয়েছেন, মাত্র ৯ বছর বয়সে একটি জনপ্রিয় টিভি শো দেখে মহাকাশের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন বই পড়তেন। পদার্থবিদ্যার প্রথম ক্লাস করার পরই সেই আগ্রহের পারদ চড়তে থাকে। ১৬ বছর বয়সে মহাকাশ বিজ্ঞানী হবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর কথায়, সেই সময় থেকেই আমি মহাবিশ্বের নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করার কথা ভাবতাম। তবে মহাকাশ অনেক বড় বিষয়। আমরা সবেমাত্র এটি জানতে শুরু করেছি। একইসঙ্গে, এই সাফল্যের জন্য শিক্ষক, অধ্যাপকদেরও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্বাতী।
ইতিমধ্যেই নাসার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে কাজ করেছেন তিনি। এরমধ্যে শনি গ্রহের জন্য ক্যাসিনি মিশন। চন্দ্রাভিযান সংক্রান্ত গ্রেইলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন স্বাতী। নাসার এই মঙ্গল অভিযানের কাজ শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। তখন থেকেই সক্রিয়ভাবে এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী।
এদিকে, পারসিভিয়ারেন্সের রুদ্ধশ্বাস অবতরণের পর থেকে সব ঠিকঠাকই চলছে বলে নাসা সূত্রে খবর। মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অ্যাডমিনেস্ট্রেটর স্টিভ জুরেখ জানিয়েছেন, রোভারের মাটি ছোঁয়ার মুহূর্তটিই নাসা, আমেরিকার ও গোটা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।