বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সম্প্রতি সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয় আমেরিকা ও চীনের মধ্যে। চীনকে বারবার কাঠগড়ায় তোলে আমেরিকা। শুরু হয় জোর তরজা। এই অবস্থায় চীনের তরফে আমেরিকাকে দেওয়া এদিনের বার্তা নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। জিনপিং ট্রাম্পকে বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি ঘটাতে আমেরিকা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেই আমার আশা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তাও দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। জিনপিং বলেছেন, সব রকমের তথ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আমেরিকাকে সাহায্যের প্রক্রিয়া জারি রাখবে চীন। জিনপিংয়ের বার্তায় এদিন ইতিবাচক সাড়া দিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ট্যুইট, জিনপিংয়ের সঙ্গে খুব ভালো কথা হল। বিশ্বব্যাপী এই মহামারী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই ভাইরাস সম্পর্কে চীনের খুব শক্তপোক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা একযোগে কাজ করছি। পারস্পরিক সম্মানের সঙ্গে। এর আগে অবশ্য ট্রাম্প ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও চীনকে নাগাড়ে কাঠগড়ায় তুলে গিয়েছেন। ভাইরাসের সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে রাখার অভিযোগ করে গিয়েছেন সমানে। এমনকী, চিনা ভাইরাস ও উহান ভাইরাস বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। আমেরিকার এই আচরণে স্বাভাবিকভাবেই চটেছিল চীন। একটি ভাইরাসের সঙ্গে এভাবে কোনও দেশ বা অঞ্চলের নাম জড়িয়ে দেওয়ার কড়া প্রতিবাদ করেছিল চীন। অন্যদিকে আমেরিকার বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে ছাড়েনি চীন নিজেও। এর আগে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্রের অভিযোগ ছিল, মার্কিন সেনার মাধ্যমেই এই ভাইরাস প্রথম উহানে আসে। এর পরেই আসরে নামেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তথ্য গোপন সহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি চীনকে দোষারোপ করতে থাকেন। বিশ্বের শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে টানা চাপানউতোর চলার পর এবার সহযোগিতার বার্তা এল। বিশ্বজুড়ে এই কঠিন সঙ্কটের মুহূর্তে যা নিশ্চিতভাবেই আশার আলো।