হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
উদ্বোধনের সময় নরেন্দ্র মোদির দাবি ছিল, এই নির্মাণ বিশ্বমানের। মন্দিরের গঠনশৈলী তাক লাগিয়ে দেবে বিশ্ববাসীকে। এখন প্রশ্ন উঠছে, নির্মাণশৈলী বিশ্বমানের হলে এক বর্ষণেই কীভাবে গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করে? প্রধান পুরোহিতের দাবি এবং বিরোধীদের আক্রমণের সাঁড়াশি চাপে আপাতত প্রবল চাপে বিজেপি। একে তো রামমন্দির আবেগ ভোটে এতটুকু ডিভিডেন্ড দেয়নি নরেন্দ্র মোদিকে। খোদ ফৈজাবাদ আসনে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তার উপর নির্মাণেই একাধিক গলদ! পুরো ঘটনায় বিস্মিত সত্যেন্দ্র। তিনি বলেছেন, শনিবার রাতে ভারি বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে অযোধ্যা। মরশুমের এটাই প্রথম বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টিই অত্যাধুনিক নির্মাণের দাবির অন্তঃসারশূন্যতা বেআব্রু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, ‘বৃষ্টির প্রকোপ বাড়লে প্রার্থনা করাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। রামমন্দির তৈরিতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বহু ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেছেন। তারপরও ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে! এমন কথা কেউ ভাবতেও পারেনি।’ রামমন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। নির্মাণ কমিটির প্রধান নৃপেন্দ্র মিশ্র একতলা থেকে জল পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর সাফাই, ‘এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ নির্মাণের কাজ এখনও চলছে। দ্বিতীয় তলের মতো গুরুমণ্ডপও খোলা। শিখর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ওই খোলা অংশ ঢাকা পড়ে যাবে। তখন এই সমস্যা থাকবে না।’
বিরোধীরা বলছে, এতেই স্পষ্ট যে, নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ভোটের জন্য তাড়াহুড়ো করে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করেছিলেন মোদি। ফল ঘোষণার পর কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মুখে আর রামমন্দির নিয়ে কথা শোনা যাচ্ছে না। আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংয়ের আক্রমণ, ‘রামের নামে চাঁদা চুরি চলবে না। শঙ্করাচার্যদের বাধা উপেক্ষা করে অসম্পূর্ণ মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা কেন করলেন মোদিজি? এজন্যই শ্রীরাম অযোধ্যায় আপনাদের হারিয়েছেন।’
২০২৫ সালের মধ্যে রামমন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে দাবি করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন আচার্য। বলেছেন, ‘দাবি করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে মন্দির নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে। হলে তো ভালোই। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি। মনে হয় না নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।’ তবে শুধু রামমন্দির নয়, বৃষ্টিতে ‘রামপথ’ও বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। মন্দির নির্মাণের আগেই সদতগঞ্জ থেকে নতুনঘাট লতা চক পর্যন্ত ১৩ কিমি দীর্ঘ রামপথ চালু করা হয়। অভিযোগ, সেই রাস্তা এখন খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। গাড়ি চলাচলের অযোগ্য। সোমবার রাস্তা সারাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। তবে রাস্তার হাল এতটাই খারাপ যে, সেই কাজে এগনো যায়নি। এ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। দলের পক্ষে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় রামমন্দির থেকে শুরু করে যেখানেই উন্নয়নের কাজ করেছে বিজেপি, সেখানেই দুর্নীতি হয়েছে। এখন সবটা প্রকাশ্যে আসছে।