আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এদিকে, সোমবার নিট দুর্নীতির তদন্তে গুজরাতের গোধরায় যায় সিবিআইয়ের একটি দল। গত ৮ মে নিটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গোধরা পুলিসে একটি মামলা দায়ের হয়। মাথাপিছু ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২৭ জন নিট পরীক্ষার্থীকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। পাঁচমহলের পুলিস সুপার হিমাংশু সোলাঙ্কি জানান, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা পুলিসকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিসের তরফে সিবিআইকে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। রবিবার গুজরাত সরকারের তরফে নিট সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের তদন্তভার পুলিসের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এখনও পর্যন্ত নিট দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গুজরাতে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে গোধরার একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক রয়েছেন। তুষার ভাট নামে ওই শিক্ষকের থেকে ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই ২৭ জন পড়ুয়াকে বলা হয়েছিল, যে প্রশ্নের উত্তর তারা জানে না, ওএমআর শিটে সেই প্রশ্নের উত্তর ফাঁকা রাখতে। পরীক্ষার পরে সেই উত্তর লিখে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে সূত্রের খবর, ২৭ জনের মধ্যে মাত্র তিনজনই নিট পাশ করেছে।
এদিকে, নিট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিস। এদের মধ্যে দুজন শিক্ষকও রয়েছেন। ওই দুই শিক্ষককে শনিবারই আটক করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিসের সন্ত্রাসদমন শাখা। রবিবার সকালে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও পরে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একজন দিল্লির বাসিন্দা। গঙ্গাধর নামে ওই ব্যক্তি চক্রের মাথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের দু’জনের ফোনে নিটের পরীক্ষা হলের টিকিট ও সন্দেহজনক লেনদেনের হদিশ মিলেছে। বিহার সরকারের তরফেও নিট দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিহার পুলিসের ইকোনমিক অফেন্সেস ইউনিট শনিবারও ঝাড়খণ্ডের দেওঘর থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। সব মিলিয়ে তারা এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।